জ়াইর বোলসোনারো। রয়টার্স
গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক সিদ্ধান্তের জন্য হোঁচট খেয়েছেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে দেশের মানুষ। আগুন জ্বলেছে শহরে শহরে। তাই মনে করা হয়েছিল, পরবর্তী নির্বাচনই বুঝিয়ে দেবে যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর পায়ের তলার মাটি ঠিক কতটা আলগা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা একেবারে উল্টে দিয়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেলেন বোলসোনারো!
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি লুইজ় ইনসিয়ো লুলা ডি সিলভার ফলাফলও কাছাকাছি। ফলে দু’জনের কেউ-ই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না-করতে পারায় ফের এক দফা ভোটাভুটির রাস্তা প্রশস্ত হল। এমনটাই জানানো হয়েছে ব্রাজিলের নির্বাচন কমিশনের তরফে। কমিশন জানায়, এখনও পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ভোটের গণনা শেষ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে বোলসোনারোর ঘরে গিয়েছে ৪৩.৯%। আর তাঁর প্রতিপক্ষ লুলা পয়েছেন ৪৭.৬%। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অধরা থেকে যাওয়ায় আগামী ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে।অন্য দিকে, গণনার শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ লুলা তাঁর থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গলদ থাকার অভিযোগ তুলেছেন বোলসোনারো।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের দাবি, প্রচারে গিয়ে জনগণের থেকে তিনি যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছিলেন তাতে তিনি পিছিয়ে থাকতে পারেন তা মেনে নেওয়া যায় না। ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনে কারচুপি করা হয়েছে বলেও অভিযোগও তুলেছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, যদি এই নির্বাচনে হার হয় তা হলে তা একেবারেই মানতে পারবেন না!এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, দ্বিতীয় রাউন্ডে লুলাকে টপকে বোলসোনারোর এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁদের অনুমান, দ্বিতীয় রাউন্ডে খুব বেশি হলে হয়তো ৫০% ভোট পেয়েই ইনিংস শেষ করবেন তিনি। ফলে তেমনটা হলে ফের প্রেসিডেন্টের আসনে বোলসোনারোর বসাই একপ্রকার নিশ্চিত।২০১৮ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেন তিনি। তবে গত কয়েক বছরে অ্যামাজন বৃষ্টি অরণ্যে নির্বিচার গাছকাটা-সহ একাধিক বিষয়ে জনতার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বোলসোনারোকে। কিন্তু সকলকে অবাক করে সে-সবের ছায়া প্রথম দফার নির্বাচনী ফলাফলের উপর অন্তত খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
সংবাদ সংস্থা