গাছের পাতা খাচ্ছে জাগুয়ার। তারপর নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি এ রকমই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। কিন্তু জাগুয়ারের মতো হিংস্র প্রাণীকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে দেখেছেন কখনও?
সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি ভিডিয়োয় এমনটি দেখা গিয়েছে। জাগুয়ারটি একটি আঙুর প্রজাতির একটি গাছের পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেশা করছিল।
আঙুর প্রজাতির ওই গাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘বানিস্টেরিওপসিস ক্যাপি’। শুধুমাত্র জাগুয়ারই এই গাছের পাতা খেয়ে নেশার আনন্দ উপভোগ করে না, পেরুর আদিবাসীদের মধ্যেও এই গাছের পাতা খুব জনপ্রিয়।
বিভিন্ন উৎসবে এই পাতার সঙ্গে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে নেশা করে থাকেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, এই গাছের একটি ‘সাইকোঅ্যাকটিভ’ প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে হার্মাইন, হার্মালাইন এবং টেট্রাহাইড্রোহার্মাইন রয়েছে। এই উপাদানগুলিই শরীরে এমন প্রভাব বিস্তার করে।
জাগুয়ার কেন এই পাতা চিবিয়ে খায়? জাগুয়ারের মতো অনেক মাংসাশী প্রাণী, যারা আমাদের আশেপাশে থাকে, তাদের মধ্যেও কিন্তু এ রকম আচরণ দেখা যায়।
কুকুর, বিড়ালকে অনেক সময় ঘাস চিবিয়ে খেতে দেখা যায়। কুকুর এবং বিড়াল কেন ঘাস চিবিয়ে খায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, হজমের কোনও সমস্যা হলে অনেক সময়ই তারা বমি করতে চায়। তখনই ঘাস খেতে দেখা যায় তাদের।
সে রকমই কেনিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হাতিদের আবার একটি নির্দিষ্ট গাছের পাতা খেতে দেখা যায়। ওই গাছের পাতা তাদের প্রসব তরান্বিত করে।
এক ধরনের বন্য টিকটিকি শ্রেণির প্রাণী রয়েছে, যারা আবার সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এক বিশেষ গাছের মূল খেয়ে থাকে। জাগুয়ারও তেমনই কোনও এক কারণে গাছের পাতা খেয়ে নেশা করে, মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এতে তাদের শরীরের ঠিক কোন সমস্যা দূর হয় তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাতার অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। খাদ্যনালী জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং শরীরের কোনও ক্ষত নিরাময়েও কাজ করে ওই আঙুর পাতা।