আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মানো শিশু। ছবি: শাটারস্টক।
জান কারবাট। পেশায় চিকিৎসক। নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে একটি আইভিএফ ক্লিনিক চালাতেন তিনি। সন্তানধারণে অক্ষম দম্পতিরা সন্তান পাওয়ার আকাঙ্খায় তাঁর ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতেন। সেখানেই কারচুপি করতেন কারবাট। সম্প্রতি কারবাটের ক্লিনিকে জন্মানো শিশুদের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট সামনে আসতেই ফাঁস হয়েছে ওই চিকিৎসকের কীর্তি।
ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতিতে টেস্টটিউবের মধ্যে দাতার শুক্রাণুর সাহায্যে ডিম্বাণুর নিষেক ঘটানো হয়। নিজের ক্লিনিকে তিনি যখন এই পদ্ধতিতে নিষেক ঘটাতেন তখন দাতার শুক্রাণুর বদলে নিজের শুক্রাণু ব্যবহার করতেন। এ ভাবেই বিগত বেশ কয়েক বছরে ৪৯ টি শিশু জন্ম নিয়েছে তাঁর শুক্রাণু থেকে।
এই আইভিএফ বিতর্ক সামনে আসে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। তার পরই কারবাটের ক্লিনিকে জন্মানো শিশুদের ডিএনএ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গত শুক্রবার সেই ডিএনএ রিপোর্ট সামনে আসতেই পরিষ্কার হয়েছে গোটা বিষয়টি।
যদিও এত বড় জালিয়াতি করেও শাস্তি ভোগ করতে হবে না ওই ডাচ চিকিৎসককে। কারণ, ২০১৭ তে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। বর্তমানে তাঁর ক্লিনিকটিও বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে জনস্বার্থ মামলা, নিষিদ্ধ হল পাবজি