গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রবিবার রাতেই তেল আভিভ থেকে সস্ত্রীক আমেরিকায় পৌঁছেছেন তিনি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার রাতে (ভারতীয় সময়) গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন।
ইজ়রায়েলি সেনার ধারাবাহিক হামলায় মৃত্যুমিছিল দীর্ঘ হচ্ছে গাজ়ায়। গাজ়ার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল গাজ়া ভূখণ্ডেই ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩৭ জন। এই পরিস্থিতিতে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় গাজ়ায় সংঘর্ষবিরতি, ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি এবং ট্রাম্পের নয়া ‘পারস্পরিক শুল্কনীতি’ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ওভাল অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি বিভিন্ন বক্তব্যে গাজ়ায় সেনা অভিযান সমর্থন করেছেন। এই আবহে সোমবারের বৈঠকে আদৌ যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঐকমত্য হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
প্যালেস্টাইনি শরণার্থী বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ১৮ মার্চ থেকে প্রতি দিন অবরুদ্ধ গাজ়ায় অন্তত ১০০ প্যালেস্টাইনি শিশু হতাহত হচ্ছে। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, এখনও ৫৯ জন ইজ়রায়েলিকে পণবন্দি করে রেখেছে হামাস। তাঁদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই যুদ্ধবিরতি হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে তেল আভিভ। গত এক মাসের হামলায় রাফা, খান ইউনূস-সহ গাজ়ার বেশ কিছু শহর কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, ট্রাম্পের নয়া নীতিতে ইজ়রায়েল থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ১৭ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। যার পরিমাণ কমানো নেতানিয়াহুর সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে ইজ়রায়েলি সরকারের ইঙ্গিত।