গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হানায় নিহত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
গাজায় খাবার, ওষুধ সরবরাহ করছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরা। ইজ়রায়েলের বিমান হানায় মৃত্যু হল বেশ কয়েক জনের। সংগঠনের দাবি, নিহতদের মধ্যে চার জন বিদেশিও রয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় খাবার, জরুরি জিনিস সরবরাহের কাজ করছিল ‘ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ নামে একটি সংগঠন। তাদের সদর দফতর আমেরিকায়। সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জস আন্দ্রেস জানিয়েছেন, মানবাধিকার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কখনওই নিশানা করা উচিত নয়। গাজ়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। সংগঠনের চার সদস্য এবং তাঁদের গাড়ির প্যালেস্টাইনি চালককে ডেইর এল-বালাহ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতদের এক জন ব্রিটেন, এক জন অস্ট্রেলিয়া, এক জন পোল্যান্ডের নাগরিক। চতুর্থ জনের পরিচয় জানা যায়নি।
সাইপ্রাস থেকে জলপথে গাজ়ায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে এই সংগঠন। গাজ়ায় অস্থায়ী জেটিও তৈরি করে দিয়েছে তারা। এ বার তাদের সদস্যরাই নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গাজ়ায় ২৪ লক্ষ মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই নিয়ে চাপ এসেছে ইজ়রায়েলের উপর। তাদের বলা হয়েছে, গাজ়ায় ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই ত্রাণকর্মীরাই নিশানা হলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ তাঁদের এক নাগরিকের মৃত্যুর কথা মেনে নিয়েছেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
গত ৭ অক্টোবার গাজ়া-সংলগ্ন ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। সেখানে ঢুকে অপহরণ করে বেশ কয়েক জনকে। পাল্টা গাজ়ায় হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সেখানে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৩২ হাজার ৮৪৫ জন। বেশির ভাগই শিশু এবং মহিলা।