Israel Hamas War

বিদেশি পণবন্দিদের ঘাড় ধরে হাসপাতালে ঢোকাচ্ছে হামাস, ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি ইজ়রায়েলের

গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারা বহু ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন বিদেশিরাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৪
Share:

পণবন্দিদের হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে হামাস। ছবি: এক্স।

পণবন্দিদের ইজ়রায়েল থেকে ধরে নিয়ে এসে গাজ়ার হাসপাতালে ঢোকানো হচ্ছে। ঘাড় ধরে ধাক্কা দিতে দিতে বন্দিদের নিয়ে যাচ্ছেন হামাসের সদস্যেরা। রবিবার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করল ইজ়রায়েল। তাদের দাবি, গাজ়া শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে ওই ছবি ধরা পড়েছে।

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারা বহু ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল ইজ়রায়েলে থাকা বিদেশিদেরও। আল-শিফা হাসপাতালের ফুটেজে যে দুই পণবন্দিকে দেখা গিয়েছে, তাঁরা নেপাল এবং তাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে দাবি ইজ়রায়েলের। ওই বিদেশি নাগরিকেরা বর্তমানে কোথায়, কী ভাবে আছেন, তা জানা যায়নি।

গাজ়ার বৃহত্তম হাসপাতাল আক্রমণ করেছে ইজ়রায়েল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনার দাবি, ওই হাসপাতালকেই ঢাল বানিয়েছে হামাস। সেখানে তাদের ঘাঁটি রয়েছে। প্যালেস্টিনীয় সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যেরা হাসপাতালের নীচে সুড়ঙ্গও খুঁড়েছেন বলে দাবি ইজ়রায়েলের।

Advertisement

ইজ়রায়েলি ফৌজ রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চার জন মিলে ধরে ধাক্কা দিতে দিতে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ওই ব্যক্তির পরনে হাফ প্যান্ট। ঘরোয়া পোশাকেই তাঁকে তুলে আনা হয়েছে। এ ছাড়া, আর এক জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি এই সংগঠনটিকে নির্মূল করার পণ করেছেন। ইজ়রায়েলের আক্রমণে গাজ়া শহরে মৃত্যুমিছিল জারি। গত দেড় মাসে ১২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি হামাস পরিচালিত গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। প্যালেস্টাইনে নির্বিচারে হামলা চালানোর ঘটনায় ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। বিভিন্ন দেশ নেতানিয়াহুর নীতির সমালোচনা করেছে। যুদ্ধবিরতির আর্জি জানিয়েছে খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু যুদ্ধ এখনও থামেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement