ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।
হামাসকে নির্মূল করার পণ করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই ভার এ বার তিনি দিলেন ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’কে। গাজ়া শুধু নয়, গাজ়ার বাইরে থেকেও হামাসের জঙ্গিদের খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু চান, বিশ্বের যে প্রান্তেই হামাসের নেতারা লুকিয়ে থাকুন না কেন, তাঁদের খুঁজে বার করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। ‘মোসাদ’কে সম্প্রতি সেই মর্মেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘আমি মোসাদকে হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছি। তাঁরা যেখানেই থাকুন, তাঁদের খুঁজে বার করা হবে।’’
বস্তুত, হামাস প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হলেও গাজ়ায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা ওই সংগঠনের সাধারণ সদস্য মাত্র। হামাসের বড় মাথা যাঁরা, তাঁরা প্রায় সকলেই গাজ়ার বাইরে থাকেন। শোনা যায়, বাইরে থেকেই সংগঠন পরিচালনা করেন হামাস নেতৃত্ব। তাঁরা কোথায় আছেন, কী ভাবে আছেন, খোঁজ মেলে না।
কাতার, লেবাননের বিভিন্ন অংশে হামাসের শীর্ষ নেতারা থাকেন বলে দাবি। তাঁরা সশরীরে গাজ়ায় থেকে লড়াই করছেন না। এই নেতাদেরই মূলত ‘টার্গেট’ করেছেন নেতানিয়াহু। তাঁদের খুঁজতেই দেশের গোয়েন্দাদের নিযুক্ত করেছেন।
মোসাদকে ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা বলা হলেও তাদের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনে নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া, ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের খুনের অভিযোগও রয়েছে মোসাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালালে প্রত্যাঘাত হিসাবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। সেই থেকে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ চলছে। ইজ়রায়েলের হামলায় গাজ়ায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে বহু প্যালেস্টাইনি শিশুর। এই পরিস্থিতিতে পণবন্দিদের মুক্তির জন্য ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। তবে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, শুক্রবারের আগে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। যুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে পাশে পেয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে গাজ়ায় তাদের হামলা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যুর বিরোধিতা করছে গোটা বিশ্ব। মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।