ইজ়রায়েলে বোমাবর্ষণ চলছে। ছবি: সংগৃহীত।
ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র বাহিনী হামাস। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষকে যুদ্ধ বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে শুধু হামাস নয়, আরও দুই দেশের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীকে। তারাও হামাসের সমর্থনে ইজ়রায়েলে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছে।
লেবাননের রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজ়বোল্লা ইজ়রায়েলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার ঠিক এক দিন পরেই হিজ়বোল্লার তরফে একটি রকেট ছোড়া হয় ইজ়রায়েলকে লক্ষ্য করে। প্যালেস্তেনীয় নাগরিকদের প্রতি সমর্থন জানাতে এই হামলা বলে স্বীকার করে হিজ়বোল্লা। ইজ়রায়েলও তাদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে। হিজ়বোল্লা মূলত ইরান সমর্থিত একটি আমেরিকা বিরোধী গোষ্ঠী। হামাসের হামলায় তারাও সহযোগী হয়েছে।
লেবাননের গোষ্ঠীর সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘর্ষের ইতিহাস বেশ পুরনো। ইরানের বিপ্লবী দল ১৯৮২ সালে হিজ়বোল্লা গোষ্ঠী গঠন করে। ইজ়রায়েলের যে বাহিনী লেবানন আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে এই গোষ্ঠীর পত্তন। ইসলাম ধর্মকে ছড়িয়ে দেওয়াও হিজ়বোল্লা গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। সেই থেকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে লেবাননের এই গোষ্ঠী।
ইজ়রায়েলের দ্বিতীয় ‘শত্রু’ সিরিয়া। যুদ্ধের আবহে তারাও হামাসের সহযোগিতা করছে। সিরিয়া থেকেও ইজ়রায়েলের উপর গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। ইজ়রায়েলি বাহিনী তার জবাব দিচ্ছে পাল্টা মর্টার শেল ছুড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইজ়রায়েলের মাটিতে সিরিয়া থেকে একাধিক হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েলের সেনা।
১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইজ়রায়েল। ছ’দিনের যুদ্ধে তারা জিতে নিয়েছিল সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড। সেই থেকে সিরিয়া এবং ইজ়রায়েল সীমান্তে সংঘর্ষ লেগে আছে।