যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
প্রথমে চার দিন। পরে আরও দু’দিন বেড়ে ছ’দিন। বুধবারই শেষ হয়েছিল ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। তবে বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের তরফেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে চলেছে। তবে কত দিন বা কত ঘণ্টার জন্য এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বুধবার ভোর ৫টায় মেয়াদ শেষ হয়েছিল ছ’দিনের যুদ্ধবিরতি।
ইজ়রায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টায় বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ আপাতত স্থগিত থাকবে। হামাসের তরফে আবার জানানো হয়েছে, আরও এক দিন যুদ্ধবিরতির মেয়াদবৃদ্ধির বিষয়ে বোঝাপড়া হয়েছে। তবে এই দাবির সমর্থনে মুখ খোলেনি ইজ়রায়েল। তবে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের তরফেও বলা হয়েছে যে, শুক্রবার পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে হামাস এবং ইজ়রায়েল।
অন্য দিকে, হামাসের তরফে বলা হয়েছে, তারা বন্দি ইজ়রায়েলি সেনাদের ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। তবে তার জন্য ইজ়রায়েলকে সমস্ত প্যালেস্টাইনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজ়রায়েলের শহর থেকে ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজ়ায় নিয়ে এসেছিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে বন্দিদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনকে মুক্ত করেছে হামাস। এখনও দেড়শোর উপর পণবন্দি হামাসের হেফাজতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই হামাসের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা গাজ়ার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসিম নইম জানান, তাঁরা ইজ়রায়েলি সেনাদের ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। তবে ইজ়রায়েলি সরকারকেও বন্দি প্যালেস্টাইনিদের মুক্তি দিতে হবে।