আল জজিরার ওই ‘সাংবাদিক’। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
দিনে সাংবাদিক, রাতে সন্ত্রাসী! সংবাদমাধ্যমের এক কর্মীকে নিয়ে এমনটাই দাবি করল ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনী। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, সংবাদমাধ্যম ‘আল জজিরা’র এক জন প্যালেস্টাইনি সংবাদিক আদতে হামাসের এক জন সক্রিয় কমান্ডার। দিনের বেলায় সাংবাদিকের ‘ছদ্মবেশে’ থাকলেও রাতে তিনি জঙ্গিমূলক কাজকর্ম করেন। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, গাজ়া ভূখণ্ড থেকে আল জাজিরার ওই সাংবাদিকের বেশ কয়েকটি ছবি এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ছবিগুলি প্রকাশ্যেও আনা হয়েছে। যদিও ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আভিচায় আদ্রেই জানিয়েছেন, ওই সাংবাদিকের নাম মহম্মদ ওয়াশাহ। কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তর গাজা উপত্যকায় হামাসের একটি ঘাঁটির ভিতর থেকে আইডিএফ অভিযানের সময় ওয়াশাহের ল্যাপটপ উদ্ধার করে আইডিএফ। তাঁর ল্যাপটপ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে ওই সাংবাদিক হামাস জঙ্গিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত।
আদ্রেই আরও জানিয়েছেন, ওয়াশাহ হামাসের ‘অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল’ শাখার এক জন ‘বিশিষ্ট কমান্ডার’। ২০২২ সালের শেষের দিকে ওয়াশাহ প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বাহিনীর হয়ে গবেষণা চালাতেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।
আদ্রেই ‘এক্স (সাবেক টুইটার)’ হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তদন্ত বলছে মহম্মদ ওয়াশাহ হামাসের মধ্যে যুক্ত করার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার পোশাকে অন্যান্য সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কেও আমরা বিশদে জানাব।’’
উল্লেখ্য, গত মাসে গাজার রাফাহতে ইজ়রায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরা দুই সাংবাদিক নিহত হন। তবে আইডিএফের দাবি ছিল, ওই দু’জন আসলে হামাস গোষ্ঠীর ‘সদস্য’ ছিলেন।