হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। —ফাইল চিত্র।
দু’মাস আগেই নতুন প্রধান বেছে নিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি করা হয়েছিল ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। এ বার কি নতুন হামাস প্রধানও নিহত? সম্ভাবনার কথা জানিয়ে নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েল সেনা বৃহস্পতিবার গাজ়ায় তিন জনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ইজ়রায়েলের অনুমান, মৃতদের মধ্যে সম্ভবত এক জন হামাস প্রধান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে উল্লেখ, ওই হামলায় হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে কি না তা যাচাই করে দেখছে ইজ়রায়েলি সেনা।
এক বিবৃতিতে ইজ়রায়েল উল্লেখ করেছে, “এই মুহূর্তে মৃত জঙ্গিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।” গাজ়ার যে ভবনে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে কোনও ইজ়রায়েলি বন্দি ছিলেন না বলেই দাবি ইজ়রায়েলের। যদিও এই হামলার পর থেকে হামাসের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ইজ়রায়েলি সেনা বৃহস্পতিবার ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজ়ায় এক অভিযানে তিন ‘জঙ্গি’র মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জন সিনওয়ার কি না, তা ইজ়রায়েলি সেনা এবং নিরাপত্তা সংস্থা যাচাই করে দেখছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, হামলায় মৃতদের মধ্যে এক জন হামাস প্রধান হতে পারেন বলে অনুমান করছে তারা। সূত্রের খবর, মৃতদের দেহগুলি ইতিমধ্যে ইজ়রায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। যদিও সিনওয়ারের মৃত্যু ঘিরে জল্পনা এই প্রথম বার নয়। হামাস প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এর আগেও এক বার ইজ়রায়েলি হানায় হামাস প্রধানের মৃত্যুর খবর ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছিল। গাজ়ার একটি স্কুলে রকেট হামলার পর সিনওয়ারের মৃত্যুর সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।