যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েল। —ফাইল চিত্র।
প্যালেস্তাইনের হামাসের পাশাপাশি এ বার ইজ়রায়েলের লক্ষ্য লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজ়বুল্লা। সোমবার রাতভর তাদের উপর হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। লেবাননের ভূখণ্ডে হেজ়বুল্লাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি। আকাশপথে এই হামলায় লেবাননে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়।
ইজ়রায়েল সেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘লেবাননের ভূখণ্ডে জঙ্গি সংগঠন হেজ়বুল্লাকে লক্ষ্য করে ইজরায়েল সেনা হামলা চালাচ্ছে।’’ যুদ্ধের আবহে ইজ়রায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। অন্তত ২৮টি জায়গা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইজ়রায়েল সরকারের এই পদক্ষেপ থেকে অনেকে মনে করছেন, লেবাননের ভূখণ্ডে হেজ়বুল্লাদের নিকেশ করার জন্য আরও বড় কোনও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হেজ়বুল্লা জানিয়েছিল, তারা এই যুদ্ধে হামাসের পাশে আছে। প্রয়োজনে তারাও অস্ত্র হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে প্রস্তুত। ইজ়রায়েলের অভিযোগ, হেজ়বুল্লা গোষ্ঠীকে অস্ত্র, অর্থের জোগান দেয় ইরান। তারাও যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়েছে এবং প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলী আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে। সোমবার ইরান হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, ওই এলাকায় তারাও বন্দুক হাতে প্রস্তুত আছে। ইজ়রায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে হামলার অভিঘাত হবে তীব্র থেকে তীব্রতর।
অন্য দিকে, হামাসকে বিপাকে ফেলতে গাজ়ায় স্থলপথে আক্রমণের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে ইজ়রায়েল। যে কোনও মুহূর্তে তারা গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালাতে পারে। তবে হামাসের মুখপাত্র সোমবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইজ়রায়েলের যে কোনও হামলার জন্য তারা প্রস্তুত। তারা কোনও হুঁশিয়ারিতেই ভয় পাচ্ছে না।
গত শনিবার হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে আক্রমণ চালায়। তার পরেই পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইজ়রায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিকেও পাশে পেয়েছে ইজ়রায়েল। এমনকি, ভারত সরকারও এই যুদ্ধে তাদের পক্ষ নিয়েছে এবং হামাসের হামলার বিরোধিতা করেছে। পশ্চিম এশিয়ায় প্রায় ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর।