Imran Khan

ইমরানকে স্বস্তি দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট, দুর্নীতি মামলায় জামিন, স্থগিত তোষাখানা তদন্তও

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। পাশাপাশি তোষাখানা মামলায় আইনি প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১৬:১৪
Share:

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দু’সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ইমরান খান। ফাইল চিত্র।

পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুক্রবার আবার স্বস্তি দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরানের বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার উপর জারি করা হল স্থগিতাদেশ। পাশাপাশি, আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁকে দু’সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান নিজেই শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবাদেন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সরকারি তোষাখানা থেকে নিয়ম ভেঙে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার আইনি প্রক্রিয়াও শুক্রবার স্থগিত রাখতে বলেছে আদালত। তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান মার্চ মাসে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরান জামিনের আবেদন জানাতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। সে সময় আদালত চত্বর থেকেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে পাক সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল জানিয়ে দেন, বিচারবিভাগের দারস্থ হতে যাওয়ার সময় কোনও অভিযুক্তকেই আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা যায় না। এর পরেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

Advertisement

আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, ইমরান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খান দম্পতির ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘ন্যাব’ (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) গত ১ মে ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। পাকিস্তান সরকারের অভিযোগ, তার একাধিক বার নোটিস পাঠানো হলেও ইমরান তাতে আমল দেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement