আড্ডা হোক বা অফিস পার্টি, বিয়ার না হলে অনেকেরই ঠিক জমে না। কিন্তু, সেই বিয়ারেই যদি টান পড়ে? অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব জুড়ে বিয়ার উৎপাদনে নাকি ভাটার টান আসতে পারে। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবেষকরা। কেন, তা জেনে নিন।
বিয়ার তৈরির মূল উপাদান হল বার্লি। এটির ফলনে বিশ্বের প্রথম সারিতে রয়েছে রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, স্পেন।
গবেষকদের একাংশের আশঙ্কা, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে খুব শীঘ্রই ভবিষ্যতে দুনিয়া জুড়েই বার্লি উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে বিয়ার শিল্পে।
সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়ে ‘নেচার প্লান্টস’ নামে একটি অনলাইন পত্রিকায়। তাতে দাবি করা হয়েছে, আগামী ৮০ বছরে বার্লির ফলন অনেকটাই কমে যাবে। বিপরীত আবহাওয়া প্রভাব ফেলবে বার্লি উৎপাদনে।
স্বাভাবিক ভাবেই বার্লি উৎপাদন কমে গেলে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিয়ার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সেই সঙ্গে দামের কথাটাও ভেবে দেখুন। বাজারে বিয়ারের জোগান কম হলে তার দামও চড়চ়ড়িয়ে বাড়বে।
এর ফলে বিয়ার প্রস্তুতকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা স্পেন, পোল্যান্ড, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বহু ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এর জেরে বার্লি উত্পাদন মার খেলে দেশের অর্থনীতির পক্ষে তার প্রভাব নিয়ে চিন্তিত দেশগুলি!
শুধুমাত্র যাঁরা বিয়ারে চুমুক দিতে ভালবাসেন, তাঁদের কথা ছেড়ে দিন। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের কর্মসংস্থানেও প্রভাব পড়বে। ফলে কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বহু মানুষের।