এপ্রিলে জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সেন্ট পিটার্সবার্গের মেট্রোতে। শনিবার রাশিয়াকে আরও এক বার সন্ত্রাসের সাক্ষী হতে হল। এ বার ঘটনাস্থল সাইবেরিয়ার সুর্গুত শহর।
মস্কোর ১৩৩০ মাইল উত্তর-পূর্বে সুরগুত তেল সম্পদের জন্য পরিচিত। শনিবার সকালে স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এক যুবক আচমকা ছুরি নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে পথচারীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। ওই হামলায় জখম হয়েছেন সাত জন। তার মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ এসে আততায়ীকে সতর্ক করতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালায়। শেষ অবধি পুলিশের গুলিতেই যুবকের মৃত্যু হয়। শনিবারই নিজেদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’-এ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বছর কুড়ির ওই যুবক স্থানীয় বাসিন্দা।
শুক্রবারই ফিনল্যান্ডের টুর্কু শহরে এক ছুরি হামলার ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছিলেন। পরের দিন রক্তপাত সাইবেরিয়ায়। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ব্রিটেন-ফ্রান্স-জার্মানি-বেলজিয়াম-স্পেন— ইউরোপের মূল ভূখণ্ড আগে থেকেই সন্ত্রাসকবলিত। শুক্র-শনি পরপর দু’দিনের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে স্ক্যান্ডিনেভিয়াও আর জেহাদি সন্ত্রাস থেকে নিরাপদ নয়।
শুক্রবার পায়ে গুলি করে আততায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ফিনল্যান্ডের পুলিশ। শনিবার তারা জানিয়েছে, ধৃত বছর আঠারোর ওই তরুণ আদতে মরক্কোর নাগরিক। নিহতদের মধ্যে এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। অন্য জন ইতালীয় নাগরিক। এই ঘটনাকে জঙ্গি নাশকতা বলেই দেখছে ফিনল্যান্ড।
তবে শনিবারের রাশিয়ার ঘটনা নিয়ে আইএস নিজে দায় নিলেও রাশিয়া নিজে কিন্তু এখনই একে জেহাদি সন্ত্রাসের তকমা দেয়নি। আততায়ী মানসিক ভাবে সুস্থ কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাই। পুলিশের অনুমান, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় খুনখারাপির ঘটনাও হতে পারে এটা।