ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। —ফাইল চিত্র।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির মৃত্যু হয়েছে চপার দুর্ঘটনায়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সোমবার সকালে এই খবর নিশ্চিত করেছে। রইসির মৃত্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট তথা সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কুর্সি খালি হয়েছে। এ বার কে বসতে চলেছেন সেই কুর্সিতে? কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন নতুন ইরানি প্রেসিডেন্ট?
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তিকালীন ভাবে ওই ভূমিকায় থাকার কথা ভাইস প্রেসিডেন্টের। ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবর সাময়িক ভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁকেও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করতে হবে।
ইরানের সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের আচমকা মৃত্যু হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট সাময়িক ভাবে ওই দায়িত্ব সামলাবেন। তিনি সরকারের তিন সদস্যের কাউন্সিলের এক জন সদস্য হিসাবেই ওই দায়িত্ব পাবেন। কাউন্সিলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও রয়েছেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে এই কাউন্সিল দেশে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করবে। তার মাধ্যমেই স্থির হবে, ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।
২০২১ সালে রইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময়েই প্রথম বার ভাইস প্রেসিডেন্ট হন মোখবর। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৯ বছর। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি।
রবিবার রাতে পূর্ব আজ়হারবাইজানে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে রইসির চপার। তাতে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার সকালে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। মূলত খারাপ আবহাওয়া, কুয়াশার কারণেই ইরানি প্রেসিডেন্টের চপার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমে। সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রইসির মৃত্যুর প্রভাব পড়তে চলেছে পশ্চিম এশিয়ায় ভূ-রাজনীতিতে। ইতিমধ্যে আরবীয় মালভূমির দেশগুলি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে। সাহায্যের কথা জানিয়েছে চিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে।