মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি। ছবি- রয়টার্স।
মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হল ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কাদ্স ফোর্সের কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির। প্রাণ হারালেন ইরাকি জঙ্গি সংগঠনের উপ-প্রধান আবু মহদি আল-মুহান্দিস ওরফে জামাল জাফর ইব্রাহিমি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এস্পার এই খবর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘ইরান ও তার আশপাশের দেশগুলিতে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ।’’
ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ এই মার্কিন ড্রোন হানাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে নিন্দা করেছেন। ‘আগামী দিনে আমেরিকাকে এর মূল্য দিতে হবে’ বলে তাঁর টুইটে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। যদিও ইরানের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত ইরাক সরকার এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি এই ঘটনায়।
পেন্টাগনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, একটি ড্রোন থেকে চালানো হয়েছে হানাদারি। ওই ঘটনায় সোলেমানি, আল-মুহান্দিস সহ কম করে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই চালানো হয়েছিল এই ড্রোন হানা।
বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হানার পর। শুক্রবার। ছবি- রয়টার্স
পেন্টাগন জানিয়েছে, ভারতীয় সময় শুক্রবার ভোর রাতে ওই বিমান হানা চালানো হয় বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ওই সময় বিমানবন্দরের কাছে দু’টি গাড়ির কনভয়ের একটিতে ছিলেন সোলেমানি ও আল-মুহান্দিস। অন্য গাড়িটিতে ছিলেন তাঁদের সঙ্গীরা।
পরে ইরাকের শিয়া জঙ্গি সংগঠনগুলি ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিমান থেকে ফেলা বোমায় গাড়িটি পুড়ে গিয়েছে। সেই জায়গাটায় ছাইয়ের পাহাড়। সেই ছাইয়ের নীচেই দেখা গিয়েছে সোলেমানির রক্তাক্ত দেহ। তাঁর হাত। আঙুলে রয়েছে সেই লাল আংটি, যা এর আগেও সোলেমানির বিভিন্ন ছবিতে দেখা গিয়েছে।
পেন্টাগনের ঘোষণার আগেই অবশ্য ইরাকের সেনাবাহিনী ও ইরাকি টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে মার্কিন বিমান হানায় সোলেমানির মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
তবে এই ঘটনায় ইরাকের মানুষ খুব খুশি, জানিয়ে একটি ভিডিয়ো-সহ টুইট করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পায়ো। লিখেছেন, ‘‘জেনারেল সোলেমানি আর নেই জেনে রাস্তায় আনন্দ-নৃত্য করছেন ইরাকের মানুষ।’’