এখনও জ্বলছে ইরান। ফাইল চিত্র।
প্রতিবাদীদের উপর আবার গুলিচালনার অভিযোগ উঠল ইরানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। শনিবার একটি মানবাধিকার সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের গোঁড়া শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিল সম্মিলিত জনতা। সেই সময়েই তাদের উদ্দেশে গুলি ছোড়ে সেনা। শুধু তা-ই নয়, সেনার গুলিতে নিহত এক প্রতিবাদীর পরিবারের দিকেও গুলি ছোড়া হয়। হাসপাতাল থেকে মৃতের দেহ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর কট্টরপন্থী নেতৃত্ব নিয়ে আগে কখনও এমন প্রশ্ন ওঠেনি। ঠিক ভাবে হিজাব না পরার অপরাধে সে দেশের নীতি পুলিশ মাহশা আমিনি নামের এক যুবতীকে আটক করে। তার পর পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে যে, পুলিশিই তাঁকে হত্যা করেছে। মাহশার মৃত্যুর প্রতিবাদে জ্বলে ওঠে গোটা ইরান। মহিলারা চুল কেটে, হিজাব খুলে ফেলে প্রতিবাদ জানান।
সম্মিলিত প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের মুখে কঠোর দমননীতির পথ অনুসরণ করে ইরান প্রশাসন। ইরানের মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সেনা-পুলিশ সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই তিনশো বিয়াল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি ভবন এবং সম্পত্তির ক্ষতি করার জন্য বারো জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। এক হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।