গন্ধবিচার হয়নি। কিন্তু রেকর্ড নাকি হাতছাড়া ভারতের। কত দশক স্নান না করে থাকা যায়, তার রেকর্ড। আপাতত সেই রেকর্ড ইরানের আমৌ হাজির পকেটে। তাঁর দাবি, গত ছ’দশকেরও বেশি সময় তিনি স্নান করেননি। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
স্নান করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে নাকি তাঁর অস্বস্তি হয়। তাই নোংরা, মলিন থাকতেই পছন্দ করেন এই বৃদ্ধ। ভালবাসেন পাইপ টানতে। তবে সেখানে ভরা থাকে বিভিন্ন পশুর বর্জ্য পদার্থ। তামাকের বদলে তার ধোঁয়াতেই সুখটান পান তিনি। যাঁর কাছ থেকে রেকর্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন আমৌ, তিনি ভারতের কৈলাস সিংহ। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কৈলাসের বাড়ি ভারতের বারাণসীতে। তিনিও আমৌ-এর মতো স্নান করতে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন। ১৯৭৪ থেকে চার দশকেরও বেশি সময় তিনি স্নান করেন না। সে বছর তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কৈলাসের দাবি, এক সাধু তাঁকে বলেছিলেন, স্নান না করলে তিনি পুত্রসন্তান লাভ করবেন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
আদেশ শিরোধার্য করে তিনি স্নান বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু সাধুর ভবিষ্যৎবাণী মেলেনি। কৈলাসের সাতজন সন্তানই মেয়ে। স্নান না করেও পুত্রসন্তান পাননি তিনি। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কিন্তু ইরানের আমৌ-এর ক্ষেত্রে স্নানাতঙ্কের কারণ জানা যায়নি। তবে কাশীর কৈলাস বা সুদূর পারস্যের আমৌ, দু’জনেই স্নান না করলেও প্রচুর জলপান করেন। একটা মরচে ধরা পাত্র থেকে সারাদিনে তিনি পাঁচ লিটার জলপান করেন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে দু’জনেরই প্রবল অনীহা। আমৌ তো চুলও কাটেন না। খুব বড় হয়ে গেলে নিতান্ত দরকার পড়লে চুল পুড়িয়ে ফেলেন। তাঁর প্রিয় খাবার সজারুর পচা মাংস। ঠান্ডায় কষ্ট পেলে মাথায় পরে নেন পুরনো আমলের শিরস্ত্রাণ। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
রাতে ঘুমনোর সময় আমৌ বেশিরভাগ দিন বেছে নেন তাঁর মাটির নিচের গর্ত। খানিকটা কবরের মতো সেই আস্তানা। অনেক সময় আকাশের নীচে খোলা মাঠেও শুয়ে পড়েন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
তবে এ কথা ভাবার কারণ নেই যে, আমৌ হাজি নিজের যত্ন করেন না । মাঝে মাঝেই গাড়ির ভাঙা আয়নায় দেখে নেন চেহারা। ফুটিফাটা পোশাক পরনে নিজের মলিন চেহারাটা দেখতে তাঁর বেশ ভাল লাগে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
আমৌ হাজির নয় সংসার নেই, কিন্তু বারাণসীর কৈলাস সিংহ ঘোর সংসারী। তিনি পেশায় পশুপালক। ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমেও তিনি স্নান না করেই দিব্যি পশুর পাল চরাতে যান। সন্ধেবেলা ধুনি জ্বালিয়ে মহাদেবের আরাধনাতেই নাকি তাঁর যাবতীয় কষ্ট দূর হয়ে যায়। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কৈলাসের স্ত্রী কলাবতী দেবী বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। একসঙ্গে না থাকার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্নান করার জন্য বলে বলে হাল ছেড়ে দিয়েছেন মেয়েরাও। কিন্তু টলানো যায়নি কৈলাস সিংহকে। তিনি স্নান না করার ধনুকভাঙা পণে অটল। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কৈলাস বলেছেন, একমাত্র পুত্রসন্তানই তাঁকে পারবে স্নান করাতে। এ জন্মে হবে না। পরজন্মে পুত্রসন্তানের পিতা হয়ে স্নান করবেন তিনি। কৈলাস তাও স্নান করার শর্ত দিয়েছেন। কিন্তু ইরানের আমৌ হাজি সে পথেও হাঁটেননি। স্নান না করেই পৃথিবীর দুই প্রান্তে দিব্য়ি আছেন এই দুই পুরুষ। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)