—ফাইল চিত্র
ক্ষমতার চার বছরে ইরানের উপরে খড়্গহস্ত ছিলেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাওয়ার আগেও সেই চড়া সুরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। চুপ নেই ইরানও। ট্রাম্পকে পাল্টা ‘উন্মাদ’ বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। তাঁর মতে, ট্রাম্প এক জন ‘অত্যাচারী, চূড়ান্ত খামখেয়ালি, নীতিহীন প্রেসিডেন্ট।’ ট্রাম্পকে ‘সন্ত্রাসবাদী এবং হত্যাকারী’ বলেও দেগে দিলেন তিনি। বিদায় বেলায় জমে উঠল দু’তরফের কাজিয়া।
সম্প্রতি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আমেরিকার দূতাবাসে রকেট হামলার ঘটনায় ইরানকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প। বুধবার সেই প্রসঙ্গে টুইট করে তিনি বলেন, ‘রবিবার বাগদাদে আমাদের দূতাবাসে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা হয়েছে। ওগুলো কারা পাঠিয়েছে আন্দাজ করুন: ইরান!’ এর পরেই তাঁর হুমকি, ‘ইরাকের মাটিতে আমেরিকানদের নিশানা করে আরও হামলার কথা শুনতে পাচ্ছি। যদি আর এক জনও আমেরিকানের মৃত্যু হয়, আমি ইরানকেই দায়ী করব।’ এই হামলার পিছনে ইরানের মদতপুষ্ট একটি জঙ্গি দলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে বাগদাদের আমেরিকান সেনাও। সেনা সূত্রের খবর, সে দিনের হামলায় প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, বড়সড় ক্ষতি হয়েছে দূতাবাসের ভবনে।
ইরানও অবশ্য চুপ করে নেই। বৃহস্পতিবার সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেজ জ়ারিফের পাল্টা টুইট, করোনা-সহ নানা বিষয়ে দেশের মাটিতে ব্যর্থতা ঢাকতে বিদেশের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। মোক্ষম জবাব দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানিও। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে ‘উন্মাদ’ বলেছেন তিনি।