সলমন রুশদি।
সলমন রুশদির উপর হামলার ঘটনার প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুলল ইরান। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসির কান্নানি সোমবার জানান, রুশদির উপর হামলার সঙ্গে ইরানের কোনও সংযোগ নেই। কান্নানি এই বিষয়ে আরও বলেন, এই বিষয়ে ইরানকে দোষারোপ করার অধিকার কারও নেই।
রুশদির উপর হামলার সঙ্গে ইরানের নাম জড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। রুশদির বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করার দায়ে লেখকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি। ইরানের এক প্রতিষ্ঠান রুশদির মাথার দাম ধার্য করেছিল প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪ কোটি টাকা। লেখককে বহু বার হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। তাই শুক্রবার রুশদির উপর হামলার পর, অনেকেরই সন্দেহের তির ছিল কট্টর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের দিকে। ইরান প্রশাসন অবশ্য প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করল।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পশ্চিম নিউ ইয়র্কের একটি সভামঞ্চে ৭৫ বছর বয়সি রুশদির উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ২৪ বছরের হাদি মাটার। এই হামলার ফলে লেখকের ঘাড়ে, যকৃতে এবং স্নায়ুতে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত লেখকের একটি চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব।