ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েও পিছিয়ে এল ইরান।
ইরানের উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ রেজ়ভানিয়ান রাহাগির মন্তব্য নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ভারত যদি আমেরিকার চাপে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে, তা হলে নয়াদিল্লি বিশেষ সুবিধাও পাবে না। চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও ভারত পালন করছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
এই বক্তব্য নয়াদিল্লিকে বিরক্ত করতে পারে বুঝেই অবশ্য সুর বদলেছে ইরান। বুধবারই তাদের দূতাবাসের পক্ষে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিই ঠিক করবে তারা কোথা থেকে তেল কিনবে। তবে ভারতে তেল পাঠানোর নিরাপত্তা দিতে রাজি তেহরান। ভারতীয় সামগ্রীর রফতানির দিকটিও দেখা হবে। মুখ খুলেছে ভারতও। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘শক্তিক্ষেত্রে ও সংযোগের বিষয়ে ইরান আমাদের দীর্ঘদিনের শরিক, বন্ধু দেশ। ইরান থেকে তেল আনার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আরও কথা বলবে ভারত। জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হবে।’’ আর ইরান দূতাবাসের বিবৃতিতে চাবাহার নিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ওই প্রকল্পে সব সময়েই ভারতকে চাই আমরা।’’