আচমকাই অদ্ভুত নোটিস ভেসে ওঠে ইনস্টাগ্রামের পর্দায়। ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপ থমকে গিয়েছিল। তার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় গন্ডগোল দেখা গেল ইনস্টাগ্রামেও। রাত ৮টা নাগাদ আচমকাই প্রশ্নে প্রশ্নে ছয়লাপ হয়ে গেল অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের দেওয়াল— ইনস্টাগ্রামে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? জবাব পাওয়া গেল কিছুক্ষণ পরেই। ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই জানিয়ে দিলেন সমস্যা হচ্ছে এবং তাঁরা সেই সমস্যার সমাধানেরও চেষ্টা করছেন। যদিও সোমবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
মূলত লগ ইন করতেই সমস্যা হচ্ছিল ব্যবহারকারীদের। নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতেই ফুটে উঠছিল একটি নোটিস। সেই নোটিসে ইনস্টাগ্রামের তরফে জানানো হচ্ছে, ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রথমে এই ধরনের নোটিস পেয়ে ঘাবড়ে যান। কারণ, তাতে লেখা ছিল, ‘‘অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার কারণ হতে পারে আপনি কমিউনিটি গাইডলাইন মানেননি।’’ আবার এ-ও লেখা ছিল যে, ‘‘আপনার হাতে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার জন্য ৩০ দিন সময় রয়েছে।’’
এই রকমই নোটিস ফুটে উঠতে দেখা গিয়েছে ইনস্টাগ্রামে লগ ইন করার সময়ে।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে হইচই পড়ে যেতেই তড়িঘড়ি বিবৃতি দেয় ইনস্টাগ্রাম। টুইটারে তারা লেখে, ‘‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। অসুবিধার জন্য ক্ষমা চাইছি। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’’
উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের মতো এই সামাজিক মাধ্যমেরও মূল সংস্থা মেটা। যার অধীনে রয়েছে ফেসবুকও। গত মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপে গোলমালের ৬ দিনের মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে সমস্যা হওয়ায় এ বার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ক’দিন বাদে ফেসবুকেও এমন সমস্যা তৈরি হতে চলেছে? উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে কোনও সাইবার অপরাধের যোগ আছে কি না জানতে চেয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক জবাব তলব করেছিল মেটার কাছে।