বরিস জনসন। —ফাইল চিত্র।
কোভিডবিধি ভেঙে সরকারি অফিসার এবং শাসক দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যদের জমায়েত করার দায়ে ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রিত্ব খুইয়েছিলেন বরিস জনসন। এ বার অতিমারির সময়ে তাঁর সরকারের ভূমিকা নিয়ে এক তদন্তে বরিসের আরও সব বিতর্কিত কার্যকলাপের কথা উঠে এল। সোমবার ব্রিটিশ সরকারের প্রাক্তন বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স দাবি করলেন, বরিস সময়ে সময়ে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য বুঝে উঠতেই পারতেন না।
অতিমারির সময়ে ভ্যালেন্সের ডায়েরিতে লেখা বেশ কিছু অংশ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ৪ মে ভ্যালেন্স লিখছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পুরো হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছেন।’’ ওই মাসেই আর একটি পাতায় লেখা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ভ্যালেন্সকে প্রশ্ন করছেন, কোভিডের মারণক্ষমতা সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে কি না। ভ্যালেন্স সেখানে মন্তব্য করছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আশা-নিরাশার মধ্যে দুলছেন। তার পর এই সব বলছেন।’’ ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটেন যুদ্ধের স্মরণ অনুষ্ঠানে সকলে মাস্ক পরে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন দেখে বরিস নাকি ‘বিচলিত’ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কাছে দৃশ্যটা মনে হয়েছিল, ‘‘ভুতুড়ে পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। এ সব বন্ধ করা দরকার!’’ ভ্যালেন্সের দাবি, ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তখন কোভি়ড পরিসংখ্যান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলা হত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক তখন অর্থমন্ত্রী। ২০২০-র জুলাইয়ে একটি বৈঠকে, ভ্যালেন্সের দাবি, সুনকও নাকি বলেছিলেন, কোভিডের বদলে সরকারের উচিত বিজ্ঞানীদের মোকাবিলা করা! এ বছরেই তদন্তকারী প্রাক্তন বিচারপতি বরিস এবং সুনককে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গিয়েছে।