স্যানিটারি ন্যাপকিন নেশার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
নেশার কথা বললে সাধারণত আমাদের মাথায় যে জিনিসগুলো আসে তা হল সিগারেট, বিড়ি, মদ, গাঁজা। একটু বড় মাত্রায় ভাবলে হেরোইন, কোকেন ইত্যাদি। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার যুবরা নেশার জন্য যে দ্রব্য ব্যবহার করছে, তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে নেশা করছে তারা।
তাদের দাবি, এই নেশা করার পর তাদের আকাশে ভেসে থাকার অনুভূতি হচ্ছে! নেশার জন্য ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দু’ধরনের ন্যাপকিনকেই কাজে লাগাচ্ছে তারা।
এই ভয়ঙ্কর নেশা নিয়ে প্রথম সারির সংবাদপত্র ও প্রশাসনের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে ‘বৈধ নেশার দ্রব্য’। এমনিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে সহজ লভ্য। দামেও যথেষ্ট সস্তা। তাই তা থেকে ঘরে বসেই যদি নেশার প্রয়োজনীয় উপকরণ বানিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে তো চিন্তার যথেষ্ট কারণ থেকেই যায়।
আরও পড়ুন: গরুর শিং থাকবে কি? রবিবার গণভোট সুইৎজ়ারল্যান্ডে
গত সপ্তাহ থেকে এরকম নেশায় আচ্ছন্ন বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। আটকদের থেকেই নেশা করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে প্রশাসন।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফোটানোর ফলেন্যাপকিনে ব্যবহৃত রাসায়নিক জলে মিশে যাচ্ছে। তাই তা পান করলে এরকম বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে। কোন রাসায়নিক দ্রব্য থেকে এরকম নেশা হচ্ছে তা জানার জন্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১০-২০ টাকার দিন শেষ! ন্যূনতম ৩৫ টাকার রিচার্জ না করালে বন্ধ হবে নম্বর
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)