—ফাইল চিত্র।
তাঁর হাত ধরে এই প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে আমেরিকা। একই সঙ্গে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই পদে নির্বাচিত হলেন। তার জেরে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে আবেগ অন্য মাত্রা পেয়েছে। তবে কমলা একা নন, আমেরিকায় এ বারের নির্বাচনে নজর কেড়েছেন ২০০ থেকে ৩০০ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সিটি কাউন্সিল, এমনকি সেখানকার স্কুল বোর্ডের নির্বাচনেও ভারতীয়দেরই জয়জয়কার। স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ইন্ডিয়াস্পোরার অন্তত তেমনটাই দাবি করছে।
আমেরিকার কংগ্রেসে সম্প্রতি ফের জায়গা করে নিয়েছেন রাজা কৃষ্ণমূর্তি। ইলিনয় থেকে থেকে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অমি বেরা, রো খন্না এবং ওয়াশিংটন থেকে প্রমীলা জয়পালও ফের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে উঠে এসেছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই আমেরিকার রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন তাঁরা। তাতেই আমেরিকার রাজনীতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের ফল সামনে আসার পর ইন্ডিয়াস্পোরা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ উঠলে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে যোগ্যতমের উদ্বর্তনের প্রবাদ খাটে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এ দেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা তা বুঝতে পেরেছেন। অধিকার নিয়ে লড়াই করতে গেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থার অংশ হয়ে ওঠা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পেরেছেন তাঁরা।’’
এ বারের নির্বাচনে যে সমস্ত ভারতীয়রা নজর কেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কেশ রাম, অ্যাশ কালরা, পদ্মা কাপ্পা, নিমা কুলকার্নি এবং গজলা হাশমি। ভারমন্ট অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হয়েছেন কেশ রাম। এই প্রথম কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা সেখানে নির্বাচিত হলেন। তিনি বলেন, ‘‘এতদিন কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা যে নির্বাচিত হননি, তাতেই অবাক ভারমন্টের মানুষ। তবে দেরিতে হলেও, বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এই জায়গায় পৌঁছতে পেরে খুশি আমি।’’
আরও পড়ুন: পৌঁছয়নি শুভেচ্ছা, বাইডেনের জয় এখনও মানতে নারাজ চিন
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আলোচনা সর্বদল বৈঠকে
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত হওয়া অ্যাশকে জো বাইডেনের হয়ে নির্বাচনী প্রচারেও যোগ দিয়েছিলেন। মিশিগান থেকে পদ্মার হয়ে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত কেন্টাকিতে এ বার জয়ী হয়েছেন নিমা। ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত হওয়া গজলা বলেন, ‘‘একজন মুসলিম অভিবাসীকে বেছে নিয়েছেন ভার্জিনিয়ার মানুষ। এতেই বোঝা যায় এখানকার মানুষ কতটা উদার।’’