সাজাপ্রাপ্ত প্রভু রামমূর্তি। ছবি: পিটিআই।
বিমানে ঘুমন্ত তরুণীর যৌন নিগ্রহ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেল ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর। তাকে ৯ বছরের কারাবাস দিয়েছে আদালত। সাজার মেয়াদ পূর্ণ হলে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে।
সাজাপ্রাপ্ত ওই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর নাম প্রভু রামমূর্তি। বয়স ৩৫ বছর। আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সে। ২০১৫ সালে এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পা রেখেছিল। তবে ঘটনাটি ঘটে এ বছরের শুরুর দিকে, জানুয়ারি মাসে।
স্ত্রীর সঙ্গে লাস ভেগাস থেকে ডেট্রয়েট ফিরছিল রামমূর্তি। স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিমানে তাদের পাশে বসেছিলেন ২৩ বছরের এক মার্কিন তরুণী। তিনটি আসনের মধ্যিখানে বসেছিল রামমূর্তি। সকলে ঘুমিয়ে পড়লে পাশে বসা ওই তরুণীর যৌন নিগ্রহ করে সে।
আরও পড়ুন: গহলৌতই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন পাইলট
তাতে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় ওই তরুণীর। তখনও তাঁর শরীরে রামমূর্তির হাত ঘোরাফেরা করছিল। জামা-প্যান্টের বোতামও ছিল খোলা। সঙ্গে সঙ্গে বিমানকর্মীদের ডেকে অভিযোগ জানান তিনি। বিমান ডেট্রয়েট পৌঁছলে রামমূর্তির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। লাগাতার পাঁচদিন ধরে শুনানির পর অগস্ট মাসেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারপতি টেরেন্স বার্গ। তবে সাজা ঘোষণা হলে এতদিনে।
সরকারি আইনজীবীদের তরফে যদিও ১১ বছরের সাজা দাবি করা হয়েছিল। তবে বিচারপতি বার্গ ৯ বছরের সাজা ধার্য করেন। সাজা ঘোষণার সময় আদালতকক্ষে হাজির ছিলেন অভিযোগকারিণী ও তাঁর সঙ্গী। আদালতে দাঁড়িয়ে বয়ানও দেন তিনি। জানান, ‘‘আমার শরীরে ওর হাত ঘোরাফেরা করছিল। আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলাম আমি।’’ তাঁর হয়ে আইনজীবী ম্যাথিউ স্নেইডার বলেন, ‘‘নিরাপদ বিমান যাত্রা সকলের অধিকার। নিগৃহীতা যে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন, আদালতে এসে বয়ান দিয়েছেন, তাতে ওঁর প্রশংসা করতেই হয়।’’ তবে রামমূর্তি নিজে কোনও সাফাই দেয়নি।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চান রাহুল, ভোট পিছনে রেখে রাফাল নিয়ে ময়দানে অমিত শাহ
গত কয়েক বছরে বিমানে যৌন নিগ্রহের দায়ে একাধিক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে বিমানে যৌন নিগ্রহের ঘটনাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মাঝ আকাশে যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত ঘটনা ৬৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।