বাস্কেটবল কোর্টেই টিকাকরণ কেন্দ্র। চলছে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রেজ়-এ। রয়টার্স।
করোনার ভারতীয় স্ট্রেনের দেখা মিলল স্পেনে। ইউরোপীয় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফ্রান্সের পরে এ বার তাঁদের দেশেও ১১টি ক্ষেত্রে ভারতীয় স্ট্রেনের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। এর আগে ফ্রান্সে ভারতীয় স্ট্রেন আক্রান্ত তিন জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। প্রথম ভারতে ধরা পড়া এই বি.১.৬১৭ স্ট্রেনকে গত কাল আরও ক্ষতিকর বলে ব্যাখ্যা করেছে ‘ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)। তারা জানিয়েছে, এই স্ট্রেনটি আরও বেশি সংক্রামক, রোগের তীব্রতা আরও বাড়াতে পারে, সর্বোপরি টিকার প্রভাব কমিয়ে দেয়। ব্রিটেন, আমেরিকার পরে সম্প্রতি ইজ়রায়েলেও দেখা মিলেছে বি.১.৬১৭ স্ট্রেনের।
করোনার টিকাকরণ নিয়ে প্রথম দেশব্যাপী সমীক্ষার পরে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, ফাইজ়ার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। বুধবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণামূলক পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়েছে তাদের এই সমীক্ষা। জনসংখ্যা কম হওয়ায় দেশবাসীর একটা বড় অংশকে দ্রুত টিকা দিতে পেরেছে ইজ়রায়েল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফাইজ়ার/বায়োএনটেকের টিকাটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫.৩ শতাংশ এবং মৃত্যু থেকে ৯৬.৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। উপসর্গহীন সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই টিকা ৯২ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। তবে এই সব কিছুই সম্ভব দু’টি ডোজ় নেওয়া হলে তবেই। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ফাইজ়ারের করা সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, একটি ডোজ় সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৫৭.৭ শতাংশ ও মৃত্যু থেকে ৭৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
এ দিকে, ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের ফাইজ়ারের করোনা-টিকা দেওয়ার অনুমতি দিল কানাডা। এই সিদ্ধান্ত কানাডাতেই প্রথম। এই বয়সি শিশুদের উপরে তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরেই ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘ফাইজ়ারের ভ্যাকসিন যে অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে নিরাপদ ও কার্যকর সে বিষয়ে মন্ত্রক নিশ্চিত।’’ ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে করোনার টিকা দেওয়ায় আগেই সায় দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের সর্বাধিক আক্রান্ত আলবার্টা প্রদেশে আগামী সোমবার থেকে ১২-র ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
গত সাত মাসের মধ্যে আমেরিকায় কোভিডে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার সর্বাপেক্ষা কম বলে দাবি করল জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি। তাদের তথ্য বলছে, আমেরিকায় বর্তমানে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ৪৬ হাজারের কাছাকাছি থাকছে। অক্টোবরের পর থেকে যা সর্বনিম্ন।