Kidnapping

২০ লক্ষ মুক্তিপণের জন্য ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত-সহ তিন জনের ৪৫ বছরের জেল

পুলিশ জানিয়েছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়েছেন তিন জন। এমনকি, তাঁকে খতম করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণে আদায়ের উদ্দেশ্যেই এই ছক কষেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভুয়ো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্রিটেনের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, ২০ লক্ষ টাকার বেশি মুক্তিপণ আদায় করা। তবে কার্যসিদ্ধি হলেও পুলিশের জালে পড়ে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দু’ভাই এবং তাঁদের এক সঙ্গী। ব্যবসায়ীকে অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ওই তিন জনকে সব মিলিয়ে ৪৫ বছরের বেশি কারাদণ্ডের সাজা দিল সে দেশের এক আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত নভেম্বরে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের উলভারহ্যাম্পটন সিটি সেন্টার এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন ৩৩ বছরের বলজিৎ বাঘরল। এই অপরাধে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ছোট ভাই ২৮ বছরের ডেভিড বাঘরল এবং শানু নামে বছর বাইশের এক যুবক। অপহরণের দায়ে জুনে তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে উলভারহ্যাম্পটন ক্রাউন কোর্ট। চলতি সপ্তাহে বাঘরলদের দু’ভাইকে ১৬ বছর করে কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। অন্য দিকে, শানুকে ১৩ বছর চার মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কাজ সেরে নিজের গাড়িতে ওঠার সময় ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন বাঘরলেরা। সে জন্য আগে থেকে তাঁর গাড়ির কাছে ওত পেতে ছিলেন। ভুয়ো আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে একটি ভ্যানে তোলেন তাঁরা। এর পর তাঁর চোখে কাপড় বেঁধে একটি দোকানে নিয়ে তোলেন। সেখানে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। ডিটেকটিভ কনস্টেবল ড্যান ডেভিড আদালতে বলেন, ‘‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ওই ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়েছেন এই তিন জন। এমনকি, তাঁকে খতম করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণে আদায়ের উদ্দেশ্যেই এই ছক কষেছিলেন তাঁরা।’’ শেষমেশ এক সহযোগীর মাধ্যমে ১৯,০০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা) মুক্তিপণ দিয়ে নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পান ওই ব্যবসায়ী।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ় ছাড়াও অভিযুক্তদের গাড়ির নম্বর এবং মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখে গোটা ঘটনাটির পুনর্নির্মাণ করা গিয়েছে। অপহরণের দু’দিন আগে বলজিতের মোবাইলে ‘রবার্স গ্যাং’ নামে একটি গ্রুপও তৈরি করা হয়েছিল। এর পর একে একে তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন দু’ভাই। তবে দোষ স্বীকার করেন তাঁদের সঙ্গী শানু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement