ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন হামলার পরেও পশ্চিমের চাপকে অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই এই চাপ আর যাতে না বাড়ে সে দিকেই লক্ষ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না ভারত। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ভারত সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অসামরিকসরকারি প্রতিনিধিদেরই ডাকবে। মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী উয়ানামুয়াঙ্গ লুইন এক জন সামরিক কর্তাও বটে। তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণের ঘোর বিরোধী আমেরিকা। তাই মায়ানমারের বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী সচিবকে ডাকার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এর ফলে মায়ানমার এই সম্মেলনটিই বয়কট করতে পারে।
এর আগে ভিডিয়ো মাধ্যমে বিমস্টেক-এর সঙ্গে সম্মেলনের সময়ে জুন্টা নিযুক্ত এই বিদেশমন্ত্রীকেই ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রতিবাদ জানায় আমেরিকা। ভারত নিজে অবশ্য মায়ানমার সম্পর্কে যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদেও মায়ানমার সম্পর্কে সতর্ক থেকেছে ভারত। নয়াদিল্লির উদ্বেগ, ভারত সে দেশের বর্তমান সামরিক সরকারের উগ্র বিরোধিতা শুরু করলে সুযোগ নেওয়ার জন্য বসে রয়েছে চিন।
তবে মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী তথা কোনও সামরিক প্রতিনিধিকে আসিয়ানের বৈঠকে না-ডাকার বিষয়টি নতুন নয়। গত বছরে আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে জুন্টা সরকারের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই জোট। এই গোষ্ঠীর সিংহভাগ রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয়, জুন্টা সরকার সে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব অনুযায়ী মায়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপরে বাহিনীর হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।