coronavirus

টিকা জোগাড়ের বেনজির সফরে প্রতিদান আড়ালে

আপাতত, ভারতের চাই প্রতিষেধকের কাঁচামালের নিরবিচ্ছিন্ন জোগান, দ্রুত যৌথ উৎপাদনের কাজ শুরু করা এবং যথা সম্ভব বেশি পরিমাণে প্রতিষেধকের ডোজ় আমদানি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২১ ০৫:৫৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দেশ জুড়ে প্রতিষেধকে টান। বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধ রাখতে হয়েছে টিকাকরণ। গত এক মাসে চিকিৎসা সরঞ্জাম বোঝাই আমেরিকার ৭টি সামরিক বিমান নেমেছে ভারতের টারম্যাকে। মোদী সরকারের সবচেয়ে কোণঠাসা এই সময়ে, আমেরিকায় পৌঁছে সে দেশের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ তিনি আলোচনা করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি এবং অন্য ভারতীয় কর্তাদের সঙ্গে। দেখা করার কথা রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বিদেশমন্ত্রীর এই আমেরিকা সফর, অন্যান্য বারের তুলনায় জাতে অনেকটাই আলাদা। এ বারে ভারত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ সহায়তার প্রত্যাশী। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও বিনিময় বা স্বার্থপূরণ ছাড়া কোনও রাষ্ট্র অন্যকে উপুড়হস্ত হয়ে দান করে না। বিদেশনীতিতে বিনি পয়সার ভোজ বলে কিছু নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা অদূর ভবিষ্যতে প্রতিদানে কী আদায় বা উসুল করবে, স্বাভাবিক ভাবেই এখন তা পর্দার আড়াল থেকে বার করা হবে না।

আপাতত, ভারতের চাই প্রতিষেধকের কাঁচামালের নিরবিচ্ছিন্ন জোগান, দ্রুত যৌথ উৎপাদনের কাজ শুরু করা এবং যথা সম্ভব বেশি পরিমাণে প্রতিষেধকের ডোজ় আমদানি। এই বিষযগুলি নিয়ে কথা হবে দু’পক্ষে। কোভিডের পাশাপাশি, চার দেশের অক্ষ ‘কোয়াড’ সংক্রান্ত সহযোগিতা, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত বিনিময়ের মতো বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর আজ টুইট করে বলেছেন, “আমাদের সময়ের বড় সমস্যা এবং বিতর্কগুলির সমাধানে ভারত যে বড় ভূমিকায় বহাল থাকবে, তা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।” সূত্রের খবর, আমেরিকায় বাইডেন প্রশাসনে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতা এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠী ভারতের বড় শক্তি। এ বারের সফরে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মঞ্চে দেখা করবেন বিদেশমন্ত্রী। কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে আগামী জুন মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশে আট কোটি প্রতিষেধকের ডোজ় পাঠাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েও বলা হয়েছে, দেশে তৈরি মোট প্রতিষেধকের ১৩ শতাংশ অন্য দেশকে দেওয়া হবে। দু’মাসের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার ৬ কোটি ডোজ় পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন দেশে। বাকিটা সময় মতো। এই ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গোষ্ঠী। সূত্রের খবর, তার পিছনে রয়েছে সাউথ ব্লকের নিরবচ্ছিন্ন দৌত্যও। আমেরিকা কংগ্রেসের সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন ৬ কোটি ডোজ়ই ভারতকে দেওয়া হোক। চলতি সফরে এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করা জয়শঙ্করের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement