মলদ্বীপ বিতর্ক নিয়ে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের সঙ্গে বৈঠক করলেন এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
চলতি উত্তপ্ত সংঘর্ষের মধ্যে উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর (ন্যাম) বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের এক্স হ্যান্ডলে সেই ছবি দিয়ে জয়শঙ্কর জানালেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ‘ন্যাম’ সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও।”
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সচিবালয় ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্করের আজকের পার্শ্ববৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক দ্বৈরথের পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে মলদ্বীপবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টাও করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মলদ্বীপের যুবা ক্যাডেটরা। পাশাপাশি ওই রাষ্ট্রের এক ঝাঁক যুবা আমলা হায়দরাবাদে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েত রাজ’-এ কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেবেন।
গত ১৪ তারিখ মুইজ্জুর সচিবালয়ের শীর্ষ আধিকারিক আবদুল্লা নাজ়িম ইব্রাহিম সে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনারা মলদ্বীপে থাকতে পারবেন না। এটাই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত।” বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, দ্বীপের বাসিন্দাদের কাজে লাগার জন্য মাত্র ৮৮ জন ভারতীয় সেনা মলদ্বীপে রয়েছেন। দূরবর্তী দ্বীপগুলিতে ওষুধ এবং ত্রাণ পাঠাতে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহার ও রক্ষণবেক্ষণে প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা। এই ৮৮ জনের মধ্যে রয়েছেন সামরিক চিকিৎসরকেরাও। এখন বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে ভারত এবং মলদ্বীপের মধ্যে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ বলেছেন, “গত ১৪ তারিখ দু’দেশের কোর গ্রুপের মধ্যে বিশদে বৈঠক হয়েছে। সূত্র খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমরা আবার বৈঠকে বসব।” সূত্রের খবর, ৮৮ জনকে সরানোর যে নির্দেশ মুইজ্জুর পক্ষ থেকে এসেছে, তাকে আপাতত মানা হবে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা কী করা যায় তা নিয়ে ফয়সালা হওয়া বাকি। ভারতীয় সেনাদের প্রয়োজন তো আর ফুরিয়ে যাচ্ছে না। ফলে ৮৮ জনকেই না ফিরিয়ে কয়েক জনকে সেখানে রাখা যায় কি না, সেই অনুরোধ ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।