ভুয়ো চাকরির টোপ। —ফাইল চিত্র।
ভুয়ো চাকরির ফাঁদে পা দিয়ে মায়ানমারে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন আট জন ভারতীয়। মায়ানমার পুলিশের সহযোগিতায় রবিবার তাঁদের উদ্ধার করে ভারতীয় দূতাবাস। দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, তাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়ানমারের মায়াড্ডি এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবারও একই ভাবে ১১ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁরাও ভুয়ো চাকরিচক্রের ফাঁদে পড়ে আটকেছিলেন মায়াড্ডির অন্য একটি অঞ্চলে। ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে গত দু’দিনে মায়াড্ডি থেকে ১৯ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। যে প্রবাসী ভারতীয়েরা মায়ানমারে চাকরি খুঁজছেন, তাঁদের সে বিষয়ে ভাল করে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারে ভুয়ো চাকরিচক্র নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয়দের সাবধান করে আসছে দূতাবাস। ২০২২ সাল থেকে একাধিক বার এই সংক্রান্ত পরামর্শাবলী জারি করেছে ইয়াঙ্গনে ভারতীয় দূতাবাস। চলতি বছরের মে মাসেও একই সতর্কবার্তা আবারও জারি করা হয়েছে। বার বার সতর্ক করার পরও কেউ কেউ মায়ানমারে এই ভুয়ো চাকরির ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন।
দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, মায়ানমার-তাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকা মায়াড্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র চলছে। তাই ওই এলাকায় কোনও চাকরি নেওয়ার আগে অবশ্যই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে তাইল্যান্ড হয়ে সেখানে লোকজন এনে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু ভারত থেকেই নয় মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও অন্যান্য দেশ থেকেও ভারতীয়দের এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে পাচারের উদ্দেশ্যে।
এমন অবস্থায় তাই দূতাবাসের পরামর্শ, সমাজমাধ্যম বা অন্য কোনও সূত্র থেকে মায়ানমারে চাকরির সুযোগ এলে, অবশ্যই সেই সংস্থার বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাসের মিলিত উদ্যোগে ভুয়ো চাকরির চক্র থেকে ৪৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে আরও ১৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল মায়াড্ডি থেকে।