East Ladakh

চিনই দায়ী, তোপ সাউথ ব্লকের

সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি চিনের দিকে অভিযোগের তর্জনী নির্দেশ করার পাশাপাশি দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে ডাকটিকিট প্রকাশ নিয়েও চিনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে ভারত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:১৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমঝোতার প্রশ্নে হতাশা গভীর হচ্ছে সাউথ ব্লকে। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘গত চল্লিশ বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এতটা খারাপ হয়নি। পূর্বাবস্থা ফেরানো কঠিন কাজ।’’ আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব-এর বক্তব্য, ‘‘গত ছ’মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পূর্ব লাদাখে যা ঘটেছে তা একতরফা ভাবে চিনের পদক্ষেপের কারণেই ঘটেছে। ভারত-চিন সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বেজিং।’’

Advertisement

সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি চিনের দিকে অভিযোগের তর্জনী নির্দেশ করার পাশাপাশি দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে ডাকটিকিট প্রকাশ নিয়েও চিনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে ভারত। গত কাল নয়াদিল্লিতে চিনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছিল, এই অনুষ্ঠান বাতিল করে দিতে হয়েছে কারণ ভারতের দিক থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রর কথায়, ‘‘এই মন্তব্য তথ্যগত ভাবে সঠিক নয়। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বর্ষ উদযাপনের জন্য কোনও উৎসবই শুরু হয়নি। ফলে ডাকটিকিট প্রকাশের যৌথ উদ্যোগটিরও বাস্তবায়নের কোন প্রশ্ন উঠছে না।’’

সম্পর্ক যে প্রতিদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে তা টের পাচ্ছে সাউথ ব্লক। শেষপর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা চিনকে কিছুটা জমি ছেড়ে দিতে হবে কি না অথবা ভারতকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নজরদারির অধিকার খুইয়ে পিছিয়ে আসতে হবে কি না তা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। বিষয়টি ঘরোয়া রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

Advertisement

আরও খবর: মোদীর বৈঠকে দক্ষিণেশ্বরের ছবি, বিতর্ক

আরও খবর: আলোচনায় অমিতই কাঁটা, দাবি কৃষকদের

সব মিলিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ক্ষীণ সূত্রটিকে আঁকড়ে ধরে এখনও চলা ছাড়া অন্য পথও নেই নয়াদিল্লির সামনে, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “চিনের বিবৃতিতে যা বলা হয়েছিল আমরা তা খেয়াল রাখছি। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ ছিল, সীমান্তে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখতে দু’টি দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি চিন তার কথা এবং কাজে মিল রাখবে।’’

বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনা যেমন চলছে, চলবে। অনুরাগের মতে, ‘‘সমস্ত সংঘর্ষবিন্দু থেকে সম্পূর্ণ সেনা সরানোটাই শেষ লক্ষ্য।’’ বরাবরের মতো আজও ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে হওয়া ভারত-চিন সীমান্ত চুক্তি মেনে চলার কথা বেজিংকে মনে করিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement