বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল ছবি
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জমিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ যাতে তাদের পণ্য ভুটান-নেপালের বাজারে পৌঁছে দিতে পারে, তার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিরূপ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে বসে বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো যে গুরুত্বপূর্ণ, তা উপলব্ধি করছে সাউথ ব্লক। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজে থেকেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে চিঠি লিখে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পাশে থাকার কথা বলেছেন।
অতিমারি-পরবর্তী বিশ্বে চিন দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশের মন জয় করতে বাড়তি চেষ্টা করছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঢালাও শুল্ক ছাড় দেওয়ার ঘোষণাও করেছে। সূত্রের মতে, ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, এই শুল্ক ছাড় ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলারই চিনা কৌশল। অন্য অনেক দেশই এর ভুক্তভোগী।
স্থলসীমান্ত, নদী বন্দর এবং রেলপথকে কাজে লাগিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত সংযোগ বাড়ানোর কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। কী ভাবে ঢাকার সঙ্গে অন্য প্রতিবেশী দেশের পণ্য সংযোগ ঘটানো যায় সে কথাও ভাবা হচ্ছে। লকডাউনের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে স্থলবাণিজ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল। সেটিও চালু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে।