ছবি: সংগৃহীত।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে (২৬ এবং ২৭ অক্টোবর) দিল্লিতে ভারত-আমেরিকা বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের (টু প্লাস টু)-এর বৈঠক বসছে। অতিমারি শুরু হওয়ার পর ভারতে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বপ্রথম এত বড় মাপের মুখোমুখি কূটনৈতিক বৈঠক। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে এই বৈঠকটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এটা ঠিকই যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মেয়াদে ভারতের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি অধরাই থেকে গেল। এর পর তিনি দ্বিতীয় দফার জন্য এলে বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জিতে এলে ওয়াশিংটনের ভারত-নীতি কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু তার আগে এই টু প্লাস টু বৈঠকটি দু দেশের রণকৌশলগত এবং আরও কিছু যৌথ পদক্ষেপে পাকা সিলমোহর লাগাতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সমুদ্র সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় সংক্রান্ত একটু চুক্তি সই হওয়ারও কথা রয়েছে আসন্ন বৈঠকে।
এর আগের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে দু দেশ শিল্পক্ষেত্রে নিরাপত্তা চুক্তি এবং ‘কমকাসা’ নামের আরও একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে। যার ফলে একটি দেশ অন্য দেশের উচ্চপ্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে পারবে। এ বার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরও একটি চুক্তিও সই হওয়ার কথা (বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট) ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আমেরিকায় নতুন জমানা এলেও চট করে এই দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তিগুলি খারিজ হবে না।আসন্ন বৈঠকে, ভারত এবং চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে বলেও সূত্রের খবর। এর আগে একাধিক বার আমেরিকার বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো চিনের নাম করে তাদের আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করেছেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্যের প্রসঙ্গ তুলেছেন। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সমুদ্রপথে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চুক্তিরও মূল কারণ, চিনকে চাপে রাখা।
টু প্লাস টু
• ভারত-আমেরিকা বিদেশমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের মুখোমুখি বৈঠক
• নয়াদিল্লি, ২৬-২৭ অক্টোবর
টেবিলে কী ?
• দু’দেশের নৌ-সেনার মধ্যে তথ্য বিনিময় চুক্তি
• বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন নামের নিরাপত্তা চুক্তি
• পূর্ব লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
• আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া
• নভেম্বরে যৌথ নৌ মহড়া বা মালাবার এক্সারসাইজ