প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় জোট গড়তে গত কাল চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর সঙ্গে ওসাকায় জি-২০-র ফাঁকে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য দিকে, ভারতের স্বার্থকে আমল না দেওয়ার অভিযোগ তুলে চিনকে দুষে একটি লিখিত বিবৃতি লোকসভায় জমা দিয়েছে এস জয়শঙ্করের বিদেশ মন্ত্রক। বলা হয়েছে, বেজিং যে ভাবে ওবর প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে তাতে স্পষ্ট, ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই চিনের। ভারত ইতিমধ্যেই বেজিংকে জানিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত কার্যকলাপ নিয়ে সাউথ ব্লক উদ্বিগ্ন।
শুধু মৌখিক স্তরে বিরোধিতাই নয়, চিনের আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনাতেও সিলমোহর দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসের সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলিতে চিনের বাণিজ্যিক আধিপত্য ক্রমেই বাড়ছে। তাদের ওবর প্রকল্প তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই অবস্থায় ওই দেশগুলির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে শরিক হয়ে নিজেদের পাল্টা আধিপত্য বাড়াতে চায় ভারত। তাদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়া, পরিকাঠামো তৈরি ও যোগাযোগ বাড়ানোর মতো কর্মকাণ্ডে ক্রমশ আরও বেশি করে যুক্ত হতে চাইছে ভারত। বিশেষ করে সেই সব রাষ্ট্রকেই এই ঋণের সুবিধে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে চিনা বিনিয়োগ এবং অনুদানের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে।
জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানাচ্ছে, ভারত এখনও পর্যন্ত এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার ৬৩টি দেশের ২৭৯টি প্রকল্পে কম সুদে ঋণ দিয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি-সহ বিভিন্ন দেশের পরিবহণ, শক্তি, কৃষি সেচ, উৎপাদন, জল এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পে কাজে লাগানো হচ্ছে ওই ঋণ। এর আর্থিক মূল্য ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬০ কোটি টাকার বেশি।