—প্রতীকী ছবি।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ বার রাশিয়াকে পাশে পেল নয়াদিল্লি।
আলোচনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু আমেরিকার নেতৃত্বাধীন কোয়াড গোষ্ঠীতে (আমেরিকা, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) ঢুকতে চায়নি রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে পৃথক ভাবে দৌত্য চালিয়েছে তারা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মস্কো সফরে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। স্থির হয়েছে, আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে কেন্দ্রে রেখে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াবে ভারত এবং রাশিয়া।
সূত্রের খবর, শ্রিংলার সফরে রুশ নেতৃত্বের সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে দু’তরফের। মস্কো জানিয়েছে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ তাদের স্বার্থের পরিপন্থী। তবে ভারতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অতিমারি পরিস্থিতিতে অর্থনীতির পুনর্গঠনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী মস্কো। ভারত এ ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানকে (যে নীতি প্রকারান্তরে সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্যের বিরোধিতা থেকেই তৈরি) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, উন্মুক্ত, উদার এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতিকে সামনে রেখেই এগোতে উৎসাহী তারা। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ইউরেশিয়া, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং পূর্ব ইউরোপ— এই তিনটি অঞ্চলেই রাশিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ বাড়ানোটা তাই নয়াদিল্লির অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।