ব্রিটেনের সদ্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। ছবি: টুইটার।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বার মুখ খুলল এখানকার ভারতীয় হাই কমিশন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের সদ্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান অভিযোগ করেছিলেন যে, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী যাঁরা ব্রিটেনে থেকে যান, তাঁরা হলেন ভারতীয়। সেই সঙ্গে সুয়েলা আরও জানিয়েছিলেন যে, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে ভারত ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে গত বছর ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি পার্টনারশিপ’ নিয়ে যে মউটি সই করা হয়েছিল, তা-ও যথাযথ ফলপ্রসূ হয়নি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মন্ত্রীর সেই অভিযোগের জবাবেই এ বার সরব হয়েছে ভারত। লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ওই চুক্তির আওতায় পড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে ভারত সরকার।
মাত্র এক মাস আগে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে সুয়েলাকে বসিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ় ট্রাস। এ দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেলও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন। সুয়েলার জন্ম ব্রিটেনে হলেও তাঁর বাবা-মা ষাটের দশকে ভারত থেকে ব্রিটেনে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করেন। এ হেন সুয়েলার ভারতীয় অভিবাসীদের প্রতি অভিযোগ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল। গত কাল লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটেনের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ভারত সরকার দায়বদ্ধ। এবং সেই অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও যে সব ভারতীয় এখনও ব্রিটেন ছেড়ে ফিরে যাননি, তাঁদের দেশে ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে’। এ বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশন কিছু পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে।
‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি পার্টনারশিপ’ নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক এফটিএ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) নিয়ে মন্ত্রিসভায় বাদ সাধবেন তিনি। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই বছরের দীপাবলির (আগামী ২৪ অক্টোবর) মধ্যেই ওই চুক্তি সেরে ফেলতে চান বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে দ্বন্দ্বও তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।