সন্ত্রাস চুক্তি বিড়ম্বনা না হয়, তৎপর পাকিস্তান

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই চুক্তিতে সইদাতাদের মধ্যে থাকছে গোষ্ঠীর নতুন দুই সদস্য ভারত ও পাকিস্তানও। ৯ ও ১০ জুন সম্মেলনটি হবে চিনের কিনদাও প্রদেশে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০৩:১০
Share:

সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন তথা এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তিতে সই করবে চিন, রাশিয়া-সহ এর সদস্য দেশগুলি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই চুক্তিতে সইদাতাদের মধ্যে থাকছে গোষ্ঠীর নতুন দুই সদস্য ভারত ও পাকিস্তানও। ৯ ও ১০ জুন সম্মেলনটি হবে চিনের কিনদাও প্রদেশে। তার আগে ইসলামাবাদ বেজিংয়ের কাছে দরবার চালাচ্ছে, যাতে পাক মদত পাওয়া জঙ্গি সংগঠনগুলির নাম ওই চুক্তিতে না থাকে। এমনকি ওই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নিয়ে আলোচনাও যেন না হয় সম্মেলনে। ফলে সন্ত্রাসবিরোধী ওই চুক্তিতে কী থাকবে এবং কী বাদ দেওয়া হবে, তাই নিয়ে শেষ মুহূর্তেও চলছে কূটনৈতিক চাপান-উতোর।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, পাকিস্তান এ নিয়ে বিশদে কথা বলেছে চিনের সঙ্গে। চিনও চেষ্টা করছে চুক্তির জঙ্গি-তালিকাটি যেন পাকিস্তানের বিড়ম্বনার কারণ না হয়। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, আইএস এবং আফগানিস্তানের তালিবান জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি অংশকে রাখা হবে চুক্তিতে। সাউথ ব্লক সূত্রের বক্তব্য, ভারত এসসিও সম্মেলনে জঙ্গি তালিকা নিয়ে বিরাট কোনও সংঘাতে যেতে চাইছে, এমনও নয়। একমাত্র হক্কানি নেটওয়ার্কের নাম তালিকায় রাখার জন্য চাপ দিচ্ছে নয়াদিল্লি। সীমান্ত-সন্ত্রাস বা জইশ-ই-মহম্মদ, লস্করের মতো সংগঠনের ব্যাপারে কিছুটা সমঝোতা আপাতত করে নেওয়া হচ্ছে। ভারত জানে, বহুপাক্ষিক মঞ্চে পাক সন্ত্রাসের বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা না করে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্তরে পাক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব হলে কাজের কাজ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement