ফারেহা বুগতি। -ফাইল ছবি।
কে ওই মহিলা? কী তাঁর পরিচয়? ওয়াঘায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ও পার থেকে যাঁকে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে হাসি মুখে কথাও বলতে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার। একেবারে ‘জিরো লাইন’ পর্যন্ত। অভিনন্দনের ফিরে আসার প্রতিটি মুহূর্ত দেখার জন্য যখন টানটান উত্তেজনায় টেলিভিশনে চোখ রেখে বসে রয়েছে গোটা ভারত, তখন ওই মহিলার পাশাপাশি অভিনন্দনকে সীমান্তের জিরো লাইনের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে শুরু হয়ে যায় ফিসফাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি এক লহমায় ভাইরাল হয়ে যায়। রটে যায়, ‘উনি অভিনন্দনের স্ত্রী বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য’। এও প্রশ্ন ওঠে, তাই বা হয় কী ভাবে? তা হলে কি অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাক সরকারই তাঁর স্ত্রীকে তড়িঘড়ি নিয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদে?
সেই জল্পনাকল্পনার সূত্র ধরেই শুরু হয় খোঁজ-তল্লাশ। জানা যায়, ওই মহিলার নাম ফারেহা বুগতি। পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসের এক জন ডাকসাইটে অফিসার। আমাদের বিদেশমন্ত্রকে যেমন পাকিস্তানের জন্য রয়েছে আলাদা বিভাগ, দফতর, তেমনই পাক বিদেশমন্ত্রকেও রয়েছে ভারত বিষয়ক বড় একটি দফতর। বুগতি সেই দফতরের অধিকর্তা।
ওয়াঘা সীমান্তের জিরো লাইন পর্যন্ত গিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের হাতে নিরাপদে তুলে দেওয়ার দায়িত্বটা বর্তেছিল বুগতির কাঁধেই। কুলভূষণ যাদবের মামলাটি রয়েছে যে গুটিকয়েক শীর্ষ স্তরের পাক আমলার হাতে, বুগতি তাঁদেরই এক জন। বাড়ি বালুচিস্তানে।
আরও পড়ুন- ‘দেশে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে’, ফিরেই প্রথম প্রতিক্রিয়া উইং কমান্ডার অভিনন্দনের
আরও পড়ুন- জইশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, বলেই ফেললেন পাক বিদেশমন্ত্রী
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকে বুগতি আসেন আজ থেকে ১৪ বছর আগে। ২০০৫-এ। তার পর ধূমকেতুর মতো উত্থানে আর দেরি হয়নি বিদূষী বুগতির। দু’বছরের মধ্যেই, ২০০৭ সালে তিনি পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের দফতরের সহকারী অধিকর্তা হয়ে যান। পাক বিদেশমন্ত্রকে এখন যে মোট ৪৫ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বালুচিস্তানের প্রতিনিধি রয়েছেন এক জনই। তিনি ফারেহা বুগতি।
তবে পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, কিছু দিনের মধ্যেই পাকিস্তান ছাড়ছেন বুগতি। যাচ্ছেন জেনিভায়, পাকিস্তানের সেকেন্ড সেক্রেটারি হয়ে।