—প্রতীকী ছবি।
কিছু দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক শীর্ষ কূটনীতিবিদ বোমা ফাটিয়েছিলেন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে। জানিয়েছিলেন তাঁর দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে। এর পরে গত কাল ভারত এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ঘটনাচক্রে একই সময়ে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। বিতর্কের ঝড় তুলে প্রধান বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে গত কাল রাতে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখের যে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এবং কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
সব মিলিয়ে বিতর্ক কমাতে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সফর সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক এবং আমিরশাহির কর্তারা ছাড়া আর কারও সঙ্গেই তাঁর বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই।
তিন দিনের সফরে শনিবারই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যান পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সেই সফর শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করে জানান, ১৮ এপ্রিল আবুধাবি যাচ্ছেন এস জয়শঙ্কর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন তিনি।
আমিরশাহির কূটনীতিকের আগের বক্তব্যের সূত্র ধরে খড়্গে বলেন, “আমরা এর আগেই দেখেছি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কূটনীতিক দাবি করেছেন তাঁরা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ করিয়েছেন। ভারতীয় বিদেশনীতির এটা এতদিনের সাফল্য ছিল যে বাহাত্তরের শিমলা চুক্তির পরে আমরা পাকিস্তানের প্রশ্নে কোনও বিদেশি শক্তিকে ঘেঁষতে দিইনি। দুঃখের বিষয় এই সরকারের আমলে শুধুমাত্র অন্য দেশ মধ্যস্থতা করছে শুধু তাই-ই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়কেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” পাক বিদেশ মন্ত্রকও অবশ্য ভারতের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।