ছবি রয়টার্স
ভারতে কয়েক সপ্তাহের জন্য লকডাউন প্রয়োজন বলে মনে করেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা সংক্রান্ত উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি।
এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাউচি জানিয়েছেন, ভারতে সম্ভবত সময়ের আগেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। তাঁর মতে, ‘‘এখন যতটা সম্ভব দেশে কাজকর্ম বন্ধ করা উচিত। ছ’মাসের জন্য লকডাউন করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের লকডাউনেও সংক্রমণের প্রকৃতির উপরে বড় প্রভাব পড়তে পারে। কেউই লকডাউন করতে চান না। কিন্তু লকডাউন করলে শেষ পর্যন্ত সংক্রমণ কম হতে পারে।’’
পাশাপাশি অক্সিজেন, ওষুধ, বর্মবস্ত্র দ্রুত জোগাড় করার উপরে জোর দিয়েছেন ফাউচি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি শুনেছি মানুষ বাবা-মা, বোন, ভাইকে নিয়ে অক্সিজেন খুঁজছেন। তাঁদের মনে হয়েছে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা ছিল না।’’ সঙ্কট মোকাবিলার জন্য একটি গোষ্ঠী গঠনের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
টিকাকরণের বিষয়ে ভারত এখনও অনেক পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন ফাউচি। তাঁর মতে, ভারত যদি এখনও পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশকে প্রতিষেধকের আওতায় এনে থাকতে পারে, তা হলে অনেক পথ হাঁটা বাকি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিশ্বে অনেক সংস্থারই হাতে এখন প্রতিষেধক রয়েছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। অন্য দিকে ভারতই সর্বোচ্চ প্রতিষেধক উৎপাদনকারী দেশ। প্রতিষেধক উৎপাদনে নিজেদের ক্ষমতাও বাড়ানো উচিত।’’
সম্প্রতি ভারত থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু কয়েক শ্রেণির যাত্রীর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বিদেশ দফতর জানিয়েছে, ১ অগস্ট বা তার পরে আমেরিকায় যাঁরা পড়াশোনা করতে যেতে চান এবং যাঁদের এফ-১ ও এম-১ ভিসা রয়েছে তাঁদের আর ছাড়ের জন্য আবেদন করারই প্রয়োজন নেই। যাঁরা ওই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাঁরা নিকটবর্তী দূতাবাস বা কনসুলেটে খোঁজ নিতে পারেন। যে সব ভিসাপ্রার্থী ওই ধরনের ভিসা পাওয়ার যোগ্য তাঁরা এই ছাড়ের আওতায় আসবেন। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তার মতো কয়েকটি ক্ষেত্রের প্রয়োজনে যাঁরা আমেরিকায় যাবেন তাঁদেরও ওই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড় ব্রাজ়িল, চিন, ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা যদি এখন ভারত থেকে সে দেশে ফেরেন তা হলে তাঁদের পাঁচ বছর জেল ও জরিমানা হতে পারে বলে আজ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।