প্রতীকী ছবি।
চর্তুদেশীয় কোয়াড (ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া)-এর মঞ্চকে ব্যবহার করে এ বার প্রতিষেধক উৎপাদনের পথে ভারত। সম্প্রতি জাপানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা এগিয়েছে বলে খবর। টিকা উৎপাদন নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা, ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এবং জাপান ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের প্রতিনিধিরা। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে টিকা প্রদানের জন্য জাপান পুঁজি সরবরাহে রাজি। গোটা বিষয়টিই হবে কোয়াড-এর অধীনে।
সূত্রের মতে, প্রতিষেধক উৎপাদনে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাকে টাকা দেবে জাপানের আর্থিক সংস্থা। প্রযুক্তিগত সহায়তা আসবে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে। আমেরিকাও এই উদ্যোগে অংশ নেবে। গত মার্চে কোয়াড-বৈঠকে প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে একমত হয়েছে চার দেশ। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরেও বিষয়টি নিয়ে কথা এগিয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন টিকা বাজারে আসার ব্যাপারে গত সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোয়াড প্রতিষেধক কূটনীতি অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের উৎপাদন এবং সরবরাহের উপর। আশা
করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কিছুটা সংহত হবে। তার পরে প্রতিষেধক রফতানির বিষয়টি আবার শুরু করা সম্ভব হতে পারে বলে ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র। এর আগেই হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কোয়াড চায় নিরাপদ এবং কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি হোক ভারতে।