মাইক পম্পেয়ো এবং এস জয়শঙ্কর।
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি বছরের গোড়ায় এক অপ্রত্যাশিত চাপ তৈরি করল দিল্লির উপরে। এক দিকে দিল্লিকে পাশে চেয়ে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ফোনে নিজেদের অবস্থান জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। পরে পম্পেয়ো টুইটারে বলেন, ‘‘ইরানের ক্রমাগত হুমকির কথা ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীকে জানিয়েছি।
আমেরিকা ও তার মিত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রশাসন যে কোনও পদক্ষেপ করতে তৈরি।’’ অন্য দিকে আজ বিদেশমন্ত্রী কথা বলেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফের সঙ্গেও। ওমান ও আরব আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পরে একটি টুইট করে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ক্রমশ সংঘাত বেড়ে চলায় নয়াদিল্লি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।
এটা ঘটনা যে রাশিয়া এমনকি আফগানিস্তানের মতো দেশও ইরানের সামরিক কমান্ডারের হত্যার পরে যে ভাবে গোটা বিষয়টির নিন্দা করেছে, ভারতের বিবৃতি তার তুলনায় ছিল অনেকটাই নরম। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ধরি মাছ না ছুঁই পানি-র রাস্তায় হেঁটে মোদী সরকার আমেরিকা এবং ইরানের মাঝে ভারসাম্য রেখে চলছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও মনে করা হচ্ছে যে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে, বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত জাতীয় স্বার্থকে নিক্তিতে ওজন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে নয়াদিল্লিকে। পরিস্থিতি যে ঘোরালো সে কথা আজ টুইটেই জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেছেন, ‘‘ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করলাম। এটা বোঝা যাচ্ছে যে ঘটনার গতি ভীষণ বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে। এই ধরনের সংঘাত তৈরি হওয়ায় আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। পারস্পরিক যোগাযোগ রাখার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে আমাদের।’’