প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
হামাস-ইজ়রায়েলের যুদ্ধ থামাতে যে কোনও শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে ভারত তৈরি। এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘শান্তি ফেরাতে ভারতের যদি কোনও ভূমিকা থাকে আমরা নিশ্চয় তা করব।’’ মোদী আরও বলেছেন, গাজ়ায় পীড়িত মানুষের জন্য ভারত আরও ত্রাণ ও সাহায্য পাঠাবে।
ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গে আগের দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বতেই অনড় রয়েছে ভারত। তবে যুদ্ধ থামাতে সব রকমের মধ্যস্থতার জন্য তারা তৈরি। মোদী বলেছেন, দুই দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
তবে ভারত বা অন্য দেশ যতই যুদ্ধ থামাতে উৎসুক হোক না কেন যুযুধান দুই পক্ষ কি তেমন চাইছে? সূত্রের খবর, গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা পুরোপুরি বন্ধ না করলে কোনও বন্দি বিনিময় করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে হামাস। ইজ়রায়েলও আজ জানিয়ে দিয়েছে, তারা শেষ দেখে ছাড়বে। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শেষ না দেখা পর্যন্ত তিনিও কোনও সংঘর্ষবিরতির পথে যাবেন না।
একটানা ইজ়রায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে উত্তর গাজ়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, সেখানে আর একটিও চালু হাসপাতাল নেই। গাজ়ার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেছেন, ‘‘উত্তরে কোনও হাসপাতালেই আর চিকিৎসা হচ্ছে না। একমাত্র অল-অহলি হাসপাতাল ধুঁকতে ধুঁকতে টিকে আছে।’’ ওখানে না রয়েছে জ্বালানি, না রয়েছে বিদ্যুৎ, না আছে কোনও চিকিৎসা সরঞ্জাম। নার্স, চিকিৎসকও নেই ।
দক্ষিণ গাজ়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর খান ইউনিসে গত কয়েক দিন ধরেই ইজ়রায়েলি বাহিনী আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। এ বার মধ্য ও দক্ষিণ খান ইউনিসের ২০ শতাংশ এলাকা খালি করার নির্দেশ দিল তারা। ইজ়রায়েলি বাহিনীর নির্দেশে এক সময় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে উত্তর গাজ়ার বাসিন্দারা ভিড় জমিয়েছিলেন দক্ষিণে। মিশর সীমান্তের কাছে রাফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকেই। এখন দক্ষিণেও হামলা চালাচ্ছে বাহিনী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ইজ়রায়েলের হামলায় এক হামাস নেতা-সহ চার প্যালেস্টাইনি
নিহত হয়েছেন।