কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের অধিবেশনে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। উগান্ডায়। ছবি- রয়টার্স
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ছোড়া ‘ঢিল’-এর আরও একটা উচিত জবাব এ বার ভারত দিল উগান্ডায় ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনে’র বৈঠকে। শনিবার। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ইসলামাবাদের যাবতীয় অভিযোগকে ‘স্রেফ প্রচার’ বলে উড়িয়ে দিল ভারত। কটাক্ষ করল পাকিস্তানের ‘সেনা শাসনের ইতিহাস’ নিয়ে।
উগান্ডার কাম্পালায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৪তম বৈঠকে চাপানউতরও চলল ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের মধ্যে। কাশ্মীরে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে সাধারণ মানুষের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যখন সরব পাক প্রতিনিধিরা, তখন তার প্রতিবাদ জানাতো দেরি করলেন না ভারতের প্রতিনিধিরা। ভারতের তরফে ওই সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হল, পাক প্রতিনিধিদলের সামনেই।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও এল হনুমান্থাইয়ার মতো সাংসদরা।
পরে লোকসভার সচিবালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাক প্রতিনিধিদলের অভিযোগের প্রতিবাদ করা হয়েছে বৈঠকেই। বলা হয়েছে, কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে কী ভাবে ইসলামাবাদ, যখন ৩৩ বছর ধরে পাকিস্তানে জারি থাকে সেনা শাসন?
আরও পড়ুন- ‘ইমরানের বক্তৃতায় ছাপ খুনে নীতির’, পাকিস্তানকে কড়া উত্তর ভারতের
আরও পড়ুন- পাক প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ভারতের কৌশল ছিল উপেক্ষারই
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘পাক প্রতিনিধিদলের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও ভারতীয় প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা।’’
রবিবারই শেষ হচ্ছে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৪তম বৈঠক। এ মাসের গোড়ার দিকে মলদ্বীপে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পার্লামেন্টের স্পিকারদের শীর্ষ সম্মেলনেও কাশ্মীর ইস্যু তুলেছিল পাকিস্তান। সেখানেও ভারতের তরফে ইসলামাবাদের অভিযোগগুলিকে খণ্ডন করা হয়।