আর্থিক বিকাশের পথে বড় বৃদ্ধির আশা ভারতে। ফাইল চিত্র।
করোনা অতিমারির ধাক্কা সামলে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই অর্থনৈতিক বিকাশ দেখে মুগ্ধ তারা। বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৪ শতাংশ। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৫ থেকে ১২.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
সম্প্রতি সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কয়েক দিন পরেই বৈঠকে বসবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফ। তার আগে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ভারতের জন্য সুখবর শোনাল।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরের সঙ্গে বর্তমান বছরের তুলনা করলেই বোঝা যাবে ভারতে কতটা আর্থিক উন্নতি হয়েছে। ২০১৭ অর্থ বর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। গত আর্থিক বছরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছিল দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ফলে বৃদ্ধির হার কমে হয় ৪ শতাংশ। কিন্তু তাতে হতাশ না হয়ে একটি সুস্পষ্ট উপায়ে অর্থনীতিকে উন্নত করেছে ভারত। এই উন্নতিকে এক কথায় ‘অ্যামেজিং’ বলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অতিমারির সবথেকে বড় প্রভাব পড়েছিল ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। ভোগ্যপণ্যের বিক্রি থেকে রফতানি, সব কিছুই ধাক্কা খায়। তার পরে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েও চাপ পড়ে কোষাগারের উপর। তার ফলে অর্থনৈতিক বিকাশ থেমে গিয়েছিল।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার জানিয়েছেন, ভারতে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রত্যেককে টিকা দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ। কারণ ভারত অর্থনীতির ক্ষেত্রে এখনও সম্পূর্ণ ভাবে কোভিডের ধাক্কা সামলাতে পারেনি। তাই যদি ফের নতুন করে অর্থনীতি ধাক্কা খায় তা হলে তাকে তুলে আনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারতে কত দ্রুত টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে তার উপরেও আর্থিক বৃদ্ধির হার নির্ভর করছে। কারণ যদি ভারতে ফের লকডাউন বা অন্যান্য বিধিনিষেধ জারি করতে হয় তা হলে ফের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। কিন্তু যদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার টিকাকরণ করতে পারে তাহলে দেশ আর্থিক বিকাশের দিকে এগিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।