ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় বহুপাক্ষিক জোটকে মজবুত করা। পাশাপাশি, চিনের প্রভাব ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার দিকটি নিয়ে আলোচনা। আসন্ন ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনে এই দু’টি বিষয়েই জোর দেওয়া হবে।
কূটনীতিকদের মতে, আগামী বুধবারের এই ভিডিয়ো সম্মেলনটি বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল। সূত্রের মতে, অতিমারি আক্রান্ত বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে দু’পক্ষই। আমেরিকা যখন ক্রমশ আর্থিক রক্ষণশীলতার চাদরে নিজেদের মুড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তখন ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলির গাঁটছড়া বাঁধার প্রয়োজন অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লিতে সাউথ ব্লকের এক কর্তার কথায়, “আন্তর্জাতিক স্তরে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। সেটি পূ্রণ করার জন্য ঝাঁপানো উচিত। না-হলে চিন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে। আর বিশ্বের বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাও চাপের মধ্যে। ভবিষ্যতের বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।’’
দু’দিন আগেই একটি ব্লগে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেল বলেছেন, “ইইউ চিনের ব্যাপারে অন্ধকারে রয়েছে, এমনটা নয়। সমান্তরাল ভাবে আমাদের এশিয়ার বড় শক্তিগুলির সঙ্গে অংশিদারিত্ব বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা সমমনস্ক, বহুত্ববাদ, আন্তর্জাতিক আইন মেনে বহুপাক্ষিক ধারণায় বিশ্বাসী।’’ তাঁর কথায়, “সব মিলিয়ে ইউরোপ এখন একটু নিঃসঙ্গ বোধ করছে। চেষ্টা করছে বহুপাক্ষিক অক্ষে যোগ দিতে। আমরা এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ যে আমাদের এই মুহূর্তে অংশীদার প্রয়োজন।’’
সূত্রের মতে, বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ২৬ জুন ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের একটি ঘরোয়া জোট বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন। জার্মানি এবং ফ্রান্স তার আগেই এই জোটের ঘোষণা করে। ওই বৈঠকে অতিমারি নিয়ে মিথ্যে খবর যাতে না-ছড়ায় তার জন্য উদ্যোগী হওয়ার ডাক দেন জয়শঙ্কর।