India-China

‘হামলাবাজ চিন’, তোপ আমেরিকার

নিজেদের দেশেও চিনকে বাণিজ্যিক দিক থেকে পুরোপুরি ভাবে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তা কতটা কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ০৬:০২
Share:

ফাইল চিত্র

গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে প্রথম দিকে চুপ থাকলেও অবশেষে বিষয়টি নিয়ে পরপর কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল আমেরিকা। এক দিকে চিনা সেনাদের হামলায় হত ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি সমবেদনা জানালেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। অন্য দিকে, গোটা সংঘর্ষের পিছনে চিনের জমি দখলদারির নীতির দিকেই আঙুল তুলেছে ওয়াশিংটন। ভারতে এখন যে ভাবে চিনা পণ্য নিষিদ্ধ করার কথা আলোচনা হচ্ছে, তাকেও স্বাগত জানায় আমেরিকা। নিজেদের দেশেও চিনকে বাণিজ্যিক দিক থেকে পুরোপুরি ভাবে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তা কতটা কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Advertisement

লাদাখ সীমান্তের অশান্তি ঘিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এর মধ্যেই আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে বৈঠক হয় শীর্ষ চিনা কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচি-র। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরে পম্পেয়ো টুইট করে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। শোক জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল লেন্যাঁ-ও।

তবে জিয়েচি-পম্পেয়ো বৈঠকে লাদাখ প্রসঙ্গ উঠেছে কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুপ দু’পক্ষেরই। এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনেটের বিদেশনীতি সংক্রান্ত আলোচনায় লাদাখ প্রসঙ্গ উঠলে চিনকে তুলোধনা করেন মার্কিন সেনেটর মিচ ম্যাকনেল। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬২-র যুদ্ধের পরে স্থলভাগে এটাই দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। বোঝা যাচ্ছে, জমি দখল করতে চিনা বাহিনীই সংঘর্ষে উস্কানি জোগায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আন্তর্জাতিক নিয়ম-শৃঙ্খলাকে তুড়ি মেরে চিন যে গোটা দুনিয়ার নকশা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা বোঝার জন্য এর চেয়ে ভাল ইঙ্গিত পেত না গোটা বিশ্ব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement